গতকাল রোববার গণমাধ্যমকে এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এখন দেশের ৬৪ জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১ লাখ ১২ হাজারেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, যার প্রায় ২০ শতাংশই হলো ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু। বিশ্বে যখন জলবায়ুজনিত বিপর্যয়ের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে জলবায়ু পরিবর্তন ডেঙ্গুরমতো মশাবাহিত রোগের বিস্তার বাড়িয়ে তুলছে, যা বড়দের পাশাপাশি সরাসরি শিশুদের জীবনেও প্রভাব ফেলছে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন,বাংলাদেশে ডেঙ্গুসংকট বাড়তে থাকায় আরও একবার এখানকার শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির অগ্রভাগে রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, বাংলাদেশ সরকার দেশে চলমান ডেঙ্গু পরিস্থিতির জন্য একটি সময়োপযোগী ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এ সময়ে জনসাধারণের প্রয়োজন তাদের বাড়িঘরে যাতে মশার বংশবৃদ্ধি না হয়, তা নিশ্চিত করা এবং মশা তাড়ানোর জন্য সমস্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তিনি আরও বলেন, আমরা পরীক্ষার কিট, চিকিত্সাসামগ্রী, মশারি সরবরাহ করছি এবং মশার প্রজনন স্থানগুলো নির্মূল করতে সিটি করপোরেশন এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করছি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইউনিসেফ সরকারকে কমিউনিটিগুলোর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবং প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সহায়তা করছে। ইউনিসেফ ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে কার্যকর তথ্য দিয়ে মানুষকে সচেতন করার জন্য সম্মিলিত করেছে ধর্মীয় ও স্থানীয় নেতাদের। এছাড়া ইউনিসেফ সরকার ও সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে ১৩ হাজার ৪০০ পরীক্ষা করা যায়—এমন ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট সরবরাহ, কর্মীদের সক্ষমতা তৈরি, কারিগরি পরামর্শ প্রদান এবং নির্বাচিত এলাকায় মশার প্রজনন স্থানগুলো পরিষ্কার করার প্রচারণার মতো পদক্ষেপ বাস্তবায়ন এবং গুরুত্বপূর্ণ চিকিত্সাসামগ্রী দিয়ে সহায়তা করছে।