দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও বগুড়ার-৫ আসনের শেরপুর অংশে নেই প্রচারের উত্তাপ। মাঠে নৌকা ছাড়া বাকি চার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের তেমন দেখা যাচ্ছে না। নেই পোস্টার, ব্যানার ও লিফলেট। উপজেলার গাড়িদহ, কুসুম্বী, মির্জাপুর ও বিশালপুর ইউনিয়ন ঘুরে মিলেছে এমন চিত্র।
বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন পাঁচজন প্রার্থী। তারা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মজিবর রহমান মজনু (নৌকা), বিএনএফ-এর মো. আলী আসলাম হোসেন রাসেল (টেলিভিশন), ইসলামী ঐক্যজোটের মুফতি নজরুল ইসলাম (মিনার), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. মামুনার রশিদ (ডাব) ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের মো. রাসেল মাহমুদ (মশাল)। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর কিছুটা প্রচারণা চোখে পড়লেও অন্যদের দেখা মিলছে না।
উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের বউবাজার গ্রামের আব্দুল হালিম বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে কতজন প্রার্থী বা কারা প্রার্থী হয়েছেন, জানি না। শুধু জানি, মজিবর রহমান মজনু নৌকা মার্কার টিকিট পেয়েছেন। বাজারে তাঁর কিছু পোস্টার লাগানো হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রচারণা মিছিল চোখে পড়ে নাই। তাঁর পক্ষে কেউ ভোটও চায়নি। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে শুধু টেলিভিশন মার্কার কিছু পোস্টার দেখেছি। কিন্তু তাকে চিন না।’
বিশালপুর ইউনিয়নের জামাইল বাজারের সোবাহান আলী, মান্দাইল গ্রামের শহিদুল ইসলাম, কুসুম্বি ইউনিয়নের টুনিপাড়া বাজারের আবদুর রাজ্জাক, তাজপুর গ্রামের কৃষক মোখলেছুর রহমান, গাড়িদহ বাজার এলাকার আব্দুল আলীমসহ বিভিন্ন এলকার মানুষ জানিয়েছেন একই ধরণের কথা।
আবার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রার্থী না থাকায় ভোট কেন্দ্রে যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। আবার অনেকে জানিয়েছেন বিগত দিনে ভোট না দিতে পারার ক্ষোভের কথা।
বাগড়া হঠাৎ পাড়া গ্রামের আমেনা খাতুন বলেন, ‘গতবার ভোট দিতে গেলে হাতে শুধু কালি লাগিয়ে দিয়েই বলে ভোট হয়ে গেছে। তাই এবার আর যাব না।’
পানিসারা বৌবাজার এলকার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘এবারে মজিবর রহমান মজনুই এমপি হচ্ছেন। আমাদের ভোট দেওয়া বা না দেওয়ায় কিছু যায় আসে না। তাই ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ নাই।’