দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় উপজেলায় জেঁকে বসেছে শীত। উত্তর থেকে বয়ে আছে হিমালয়ের হিম-শীতল বাতাসে কাঁপছে মানুষ। আজ বুধবার সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড।
এর আগে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ সর্বনিম্ন তাপমাত্রার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যার পর থেকে এ উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যায় হিমালয়ের হিম বাতাস। সঙ্গে ঘন কুয়াশা ও শিশির বিন্দু পড়ে পরদিন সকাল পর্যন্ত। ফলে কনকনে শীত অনুভূত হয়। দিনের বেলা কিছুটা সূর্যের আলো পাওয়া গেলেও নেই তেমন উত্তাপ। গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে কনকনে শীত এবং কুয়াশা পড়লেও এ অঞ্চলে আজ সকালে সূর্যের আলোর দেখা মিলেছে। এতে কাজে বের হওয়া খেটে খাওয়া মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন।
তেঁতুলিয়া উপজেলার আজিজনগর এলাকার চা চাষি মহসিন আলীর বলেন, ‘কনকনে ঠান্ডার কারণে আমরা ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না। আগের চেয়ে আয়ও কমে গেছে।’
মহানন্দা নদীতে পাথর উত্তোলন করতে আসা শ্রমিক আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমরা নদী থেকে পাথর তুলে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু শীতকাল আসলে আমাদের কষ্ট হয়। এমনিতে শীত, সেই সঙ্গে নদীর পানি অনেক ঠান্ডা। তাই রোদের ওপর নির্ভর করে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। আয়ও কমেছে অনেক। কিন্তু করার কিছু নেই, আমাদের খোঁজ খবর কেউ নেয় না।’
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, এই উপজেলা থেকে হিমালয় অনেক কাছাকাছি হওয়ায় উপজেলা নির্দিষ্ট সময়ের আগে শীতের আমেজ শুরু হয়। এখানে দীর্ঘস্থায়ী শীত অনুভূত হয় অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় অর্থাৎ দেরিতে শীত বিদায় নেয়। গত কয়েক দিন থেকে তাপমাত্রা উঠানামা করছে। তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেতে পারে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, তেঁতুলিয়া সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ৷ যা এ মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড ৷ তবে তাপমাত্রা আরও হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মূলত উত্তরের হিমেল হওয়ার কারণে এ উপজেলায় তাপমাত্রা উঠানামা করে এবং শীত বৃদ্ধি পায়।