ইয়েমেনের রাজধানী সানায় নতুন করে অভিযান চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। সানার নিয়ন্ত্রণকারী হুথিদের সমর্থিত গণমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো এ খবর দিয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নতুন করে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তারা হুথিদের ওপর করা হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এ নিয়ে আরও বিস্তারিত কিছু জানাতে অস্বীকার করেছেন।
হুথি আন্দোলনের চ্যানেল আল মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য ইয়েমেনের রাজধানী সানাকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালাচ্ছে।
ইয়েমেনের বাসিন্দারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও হামলার বিষয়ে জানাচ্ছেন। একাধিক পোস্টে রাজধানী সানার কাছে একটি বিমানঘাঁটিতে হামলার কথা জানানো হয়েছে। উপকূলীয় শহর হোদেইদাহতেও বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধাদের ব্যবহৃত কমপক্ষে এক ডজন সাইটে বোমা হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এ সময় তারা সাবমেরিন-চালিত ক্ষেপণাস্ত্র এবং ফাইটার জেট ব্যবহার করে।
লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হুথি হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই হামলা চালানোর হয় বলে দাবি করে দেশ দুটি। হামলার পর ওই দিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করে বলেন, প্রয়োজনে আরও হামলা চালাতে দ্বিধা করবে না তার দেশ।
এদিকে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের বিভিন্ন অবস্থানে হামলা চালানোর অনুমতি দিয়ে বিপাকে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কারণ ইয়েমেনে হামলা চালানোর ব্যাপারে যথাযথ প্রক্রিয়া মানেননি বাইডেন। তিনি কংগ্রেসকে অবগত না করেই এই হামলার অনুমতি দিয়েছেন।
কংগ্রেসম্যান রো খান্না বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে কোনো সংঘাতে জড়ানোর আগে অবশ্যই বাইডেনের কংগ্রেসকে জানানো উচিত ছিল।
আরেক কংগ্রেসম্যান ভাল হলি বলেছেন, কংগ্রেস বিদেশে সামরিক হামলার অনুমোদনের ক্ষেত্রে একমাত্র কর্তৃপক্ষ। প্রত্যেক প্রেসিডেন্টেরই শুরুতেই কংগ্রেসে আসা উচিত এবং সামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাওয়া উচিত।
আবার অনেকে বাইডেনের এমন হস্তক্ষেপকে সমর্থন করলেও বলছেন, অস্ত্রের চেয়ে কূটনৈতিকভাবেই সংকট সমাধানের চেষ্টা করা জরুরি।