ইসরাইলের সেনাবাহিনীর চার জ্যেষ্ঠ কমান্ডার জানিয়েছেন, হামাসের সঙ্গে চুক্তি করা ছাড়া জিম্মিদের মুক্ত করা সম্ভব না। এ ছাড়া হামাসকে নির্মূল করা, একই সঙ্গে জিম্মিদের মুক্ত করা পুরোপুরি ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলে জানিয়েছেন তারা।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন কথা জানান চার সেনা কমান্ডার। তবে তারা কেউই নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করেননি।
যদিও এই যুদ্ধের মূল লক্ষ্য হচ্ছে— হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করা এবং হামাসযোদ্ধাদের হাতে আটক জিম্মিদের উদ্ধার করা। তবে এ দুটোর কোনোটিই এখনো পর্যন্ত সফল হতে পারেনি ইসরাইল।
তবে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) পরে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা কমান্ডারদের এ ধরনের মূল্যায়ন নিয়ে জ্ঞাত নয় এবং তাদের মতামতের সঙ্গে আইডিএফ’র অবস্থানের কোনো মিল নেই।
নিউইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওই কমান্ডাররা জানিয়েছেন, হামাসের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে তারা অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন।
তারা আরও জানিয়েছেন, রাজনৈতিক নেতাদের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। হামাসের সঙ্গে চুক্তি ছাড়া জিম্মিদের উদ্ধার কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
ওই কমান্ডাররা আরও জানান, হামাসের সঙ্গে গত ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর, যুদ্ধের যে গতি ছিল— সেটি পরবর্তীতে ধরে রাখা যায়নি। তারা ভেবেছিলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে গাজা সিটি, খান ইউনিস এবং রাফাহ ইসরাইলি সেনাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
এখন পর্যন্ত গাজার উত্তরাঞ্চলে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারলেও, দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে হামাসের তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ছে ইসরাইলি সেনারা। অপরদিকে রাফাহতে তারা এখনো কোনো ধরনের অভিযান শুরুই করতে পারেনি।
এ ছাড়া হামাসের গোপন সুড়ঙ্গ নিয়েও কথা বলেছেন এই কমান্ডাররা। তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধ শুরুর আগে তারা ভেবেছিলেন গাজায় হামাসের ১০০ মাইল সুড়ঙ্গ রয়েছে। কিন্তু এখন তারা বুঝতে পারছেন ছোট্ট এ উপত্যকায় ৪৫০ মাইলেরও বেশি সুড়ঙ্গ তৈরি করেছে হামাস। আর সুড়ঙ্গগুলো এতটাই জটিল যে, যদি সেখানে কোনো জিম্মিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয় তা হলে তাদের জীবিত উদ্ধারের কোনো নিশ্চয়তা নেই।