২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০২:৩৪:১৫ পূর্বাহ্ন
বাগমারায় উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে অবৈধ পুকুর খননে কৃষি জমি সয়লাব
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০২-২০২৪
বাগমারায় উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে অবৈধ পুকুর খননে কৃষি জমি সয়লাব

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাগমারা উপজেলায় উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে অবাধে পুকুর খননে ধ্বংস হচ্ছে শত শত বিঘা আবাদি কৃষি জমি। বাগমারা উপজেলায় কৃষি জমিতে পুকুর খননে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে কে ম্যানেজ করে দিন রাতে চলছে পুকুর খননের মহাযজ্ঞ। ফলে দিনে দিনে ফুরিয়ে যাচ্ছে ফসলি কৃষি জমি। কৃষকরা হচ্ছে সর্বশান্ত। কৃষি জমির শ্রেণি পরিবর্তন না করার জন্য সরকারের বিভিন্ন আদেশ ও ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন এবং উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা বাস্তবায়নে যথারীতি পদক্ষেপ গ্রহণে স্থানীয় প্রশাসন রহস্যজনকভাবে নিষ্ক্রিয়। তাই বাধাহীনভাবে অবিরাম গতিতে চলছে ভবানীগঞ্জ পৌরসভা (হদির বিল খননকারী শিবেন) ,হামির কুৎসা (খাপুর বিল) , গোয়ালকান্দি (যশোর বিল), ঝিকরা ও গনিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন মৌজায় পুকুর খননের ব্যাপক প্রতিযোগিতা।

পাশাপাশি পুকুর খননের মাটি কাঁকড়া দিয়ে বিভিন্ন ইট ভাটায় উচ্চ দামে বিক্রি চলছে। ফলে অতিরিক্ত মাটি বোঝাই ট্রাক্টর ব্যবহারের কারণে অত্র এলাকার রাস্তাঘাট ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে। এছাড়াও রাস্তাঘাটে অতিরিক্ত ধুলো বালি ও কাদাই মানুষের জনজীবনের স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাপক বিপর্যয় হয়ে উঠেছে। স্থানীয় ভুক্তভোগী লোকজন অভিযোগ করে বলেন যে সরিষার মধ্যে ভূত। রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে প্রতিকার পাবো কিভাবে। তাই এই এলাকার সর্বসাধারণ আবাদি কৃষি জমি সহ এলাকার রাস্তাঘাট রক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এবিষয়ে বাগমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো: উজ্জল হোসেন জানান, পুকুর খনন বন্ধের জন্য আমাদের উপজেলা প্রশাসনের অভিযান চলমান রয়েছে খুব দ্রুত এসব পুকুর খননের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন