২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০১:০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন
সমন্বিত অংশগ্রহণে শিশুর প্রতি যৌন শোষণ রোধে কাজ করতে হবে : শেখ মফিজুর রহমান
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০২-২০২৪
সমন্বিত অংশগ্রহণে শিশুর প্রতি যৌন শোষণ রোধে কাজ করতে হবে : শেখ মফিজুর রহমান

ডাচ মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স, নেদারল্যান্ডস এবং ফ্রি অ্যা গার্লের সহযোগিতায় সুফাসেক-ডাউন টু জিরো অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ (স্টেপিং আপ দ্য ফাইট অ্যাগেইনস্ট চাইল্ড সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন অফ চিলড্রেন) প্রকল্পের আওতায় এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডির আয়োজনে রাজশাহীর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবনের সম্মেলন কক্ষে শিশুদের উদ্ধার ও পূনর্বাসন বিষয়ক এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।


আজ বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় মতবিনিময় সভার সভাপতি প্রফেসর ড. চৌধুরী সারোয়ার জাহানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী’র বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান।


এসময় রাজশাহীতে কর্মরত বিভিন্ন আদালতের বিচারক এবং একই সাথে সংশ্লিষ্ট আদালতের পিপি উপস্থিত ছিলেন। এসিডি এবং প্রকল্প সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. মনিরুল ইসলাম।


সভায় প্রধান অতিথি বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান বলেন, একটু ধৈর্য্য ধরলেই সফলতা নিয়ে আসা সম্ভব। আমাদের দেশে শিশু আইন করেছি, মানব পাচার আইন করেছি এগুলো সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগ এবং সমন্বয়ের মাধ্যমেই হয়েছে। সরকার এবং বেসরকারি সাহায্যকারী সংস্থা হাতে হাত রেখে কাজ করলে তাহলেই শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যত বিনিমার্ণে ভূমিকা রাখবে। তিনি আরো বলেন, শিশু সুরক্ষা বিষয়ে আমাদের সবাইকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এবং যৌন শোষণ রোধে ভূমিকা রাখতে হবে।


এক্ষেত্রে সকলকে সংবেদনশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক মো. মহিদুজ্জামান, জেলা জজ জিয়া উদ্দিন মাহমুদ, জেলা ও সেসন জজ মো. আয়েজ উদ্দিন, শিশু আদালত-২ এর জেলা জজ মো. হাসানুজ্জামান, সিএমএম কোর্টের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এসএম জাকির হাসান, পিপি মো. মোজাফফর হোসেন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সদস্য মো. একরামুল হক, মানব পাচার ট্রাইবুনালের স্পেশাল পিপি মো. শফিকুল ইসলাম, পিপি অ্যাডভোকেট শামসুন্নাহার মুক্তি প্রমূখ। এ সময় মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, আমরা প্রত্যেকেই শিশুর প্রতিসংবেদনশীল।


সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা গেছে বাংলাদেশের শিশুরা ব্যাপক শারীরিক সহিংসতা, নিরাপত্তাহীনতা এবং যৌন শোষণের ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে। যা দুঃখজনক। আইনের কঠোরতা নয়, সমান সুযোগ এবং যথাযথ প্রয়োগ করতে পারলেই সমাজকে বদলে দেওয়া সম্ভব। প্রত্যেক নাগরিকের সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্ব রাস্ট্রের। রাস্ট্র সে কাজ করে যাচ্ছে। বেসরকারি সংগঠনগুলোর ভূমিকাও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।


শেয়ার করুন