যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্সের’ করা ২০২৪ সালের সংস্করণে বিশ্বের শক্তিশালী পাসপোর্টের সূচকে এক ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার বিশ্বের ১৯৯টি দেশের পাসপোর্ট সূচক প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ এই পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ এই সূচকে শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায় বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে ১০২তম অবস্থানে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। যদিও এর আগে হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্সের পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশ ১০১তম স্থানে ছিল।
গত বছরের ত্রৈমাসিক সংস্করণে বাংলাদেশের পাসপোর্ট এই তালিকার ৯৬তম স্থানে ছিল। এর আগে একই বছরের ১০ জানুয়ারি প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০১তম। গত বছরের শেষ সংস্করণের তুলনায় চলতি বছরে বাংলাদেশের পাসপোর্টের অবস্থানের এক ধাপ অবনতি ঘটেছে।
কোন দেশের পাসপোর্ট দিয়ে কত দেশে ভিসা ছাড়া বা অন অ্যারাইভাল ভিসায় প্রবেশ করা যায়, ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (আইএটিএ) সেই তথ্যের ভিত্তিতে শক্তিশালী পাসপোর্টের সূচক তৈরি করে দ্য হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স। বিশ্বের ১৯৯ দেশের সূচকে কিছু কিছু দেশ যৌথ অবস্থান পাওয়ায় এ বছর মোট ১০৯টি অবস্থান নির্ধারণ করেছে হ্যানলি।
গত ১৯ বছর ধরে বিশ্বের কোন দেশের পাসপোর্ট কতটা শক্তিশালী তা নিয়ে প্রত্যেক বছর প্রতিষ্ঠানটি র্যাংকিং প্রকাশ করে আসছে। প্রতি তিন মাস অন্তর এই সূচক প্রকাশ করা হয়।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির এই সূচকে বাংলাদেশের পাসপোর্ট বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়ার সাথে যৌথভাবে ১০২তম অবস্থানে রয়েছে। চলতি বছরের সংস্করণ অনুযায়ী, বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে বিশ্বের ২২৭টি গন্তব্যের মধ্যে বর্তমানে ৪২টিতে ভিসা ছাড়া কিংবা অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করা যায়।
বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে আগাম ভিসা ছাড়া ইউরোপের কোনও দেশে ভ্রমণ করা সম্ভব নয়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে মালদ্বীপের পাসপোর্ট (৫৮তম)। মালদ্বীপের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই ৯৬টি দেশে ভ্রমণ করতে পারেন। এরপরই আছে ভারত (৮৫তম), ভুটান (৯২তম) এবং মিয়ানমার (৯৭তম)। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের তুলনায় একধাপ ওপরে আছে শ্রীলঙ্কা (১০১তম)। এছাড়া নেপাল (১০৩তম), পাকিস্তান (১০৬তম) এবং আফগানিস্তানের পাসপোর্ট একেবারে তলানিতে (১০৯তম) অবস্থানে আছে।