২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ১২:০৬:০০ পূর্বাহ্ন
এভিয়েশন পুলিশে এপ্রিলে যুক্ত হচ্ছে উড়োজাহাজ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০২-২০২৪
এভিয়েশন পুলিশে এপ্রিলে যুক্ত হচ্ছে উড়োজাহাজ

স্মার্ট পুলিশ গড়তে একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন শেষে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের তিনি এসব নির্দেশনা দেন।


প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী এপ্রিলেই পুলিশ বাহিনীর জন্য উড়োজাহাজ দেওয়া হবে। ওই জাহাজ পরিচালিত হবে এভিয়েশন পুলিশের মাধ্যমে। আর এখন যে স্থানে পুলিশ সপ্তাহ উদযাপন হয়, সেটি ঐতিহ্যবাহী স্থান। এর আয়তনও অনেক ছোট। চার পাশে অনেক উঁচু ভবন থাকায় বড় অনুষ্ঠানের জন্য স্থানটি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ঢাকা বা এর আশপাশে পুলিশের জন্য জায়গা দেখা হচ্ছে। ভালো জায়গা পেলে সেখানে পুলিশ বাহিনীর জন্য নতুন পুলিশ লাইন্স তৈরি করা হবে। সেখানে থাকবে দৃষ্টিনন্দন প্যারেড গ্রাউন্ড। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সময় উপস্থিত একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা যুগান্তরকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


তারা জানান, রাজারবাগ প্যারেড গ্রাউন্ডে বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী অডিটোরিয়ামে প্রবেশ করেন। সেখানে একজন পুলিশ সুপার নিজেদের দাবি-দাওয়ার বিষয়ে কথা বলতে শুরু করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘আপনাদের সব দাবি আমি জানি। সবকিছু আমার নখদর্পণে। পুলিশ বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য যা যা করা দরকার, সবই আমি করব।’ এরপর প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘পুলিশ নিয়ে আমার বহুমুখী পরিকল্পনা আছে। সেগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে পুলিশকে আরও স্মার্ট হতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে, বিশেষ করে বিরোধী দলে থাকাকালে সারা দেশ ঘুরেছি। পুলিশের জড়াজীর্ণতা দেখিছি। লজিস্টিক সাপোর্টের ঘাটতি দেখেছি। তখন থেকেই আমার পরিকল্পনা ছিল, সুযোগ পেলে পুলিশের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রখোব। আমি সেটাই করছি। সামনের দিনগুলোতে পুলিশের জন্য অনেক ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।’ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বরাত দিয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, সামনের দিনগুলো বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে, খাদ্যের বিষয়টি। খাদ্যদ্রব্যের সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই কৃষিপণ্য উৎপাদনে এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে সেজন সবাইকে খেয়াল রাখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।


তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বে মাদক একটি বড় সমস্যা। মাদক নির্মূলে পুলিশকে আরও পেশাদারিত্বের সঙ্গে ভূমিকা রাখতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জনগণের তুলনায় এটা পর্যাপ্ত নয়। তাই কমিউনিটি পুলিশের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে কমিউনিটি পুলিশিংকে আরও জোরদার করতে হবে। নিরাপদ জনপদ গড়তে এর বিকল্প নেই। জঙ্গিরা যাতে আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য খেয়াল রাখতে হবে। কমিউনিটি পুলিশিং শক্তিশালী হলে জঙ্গি এবং মাদক দমন কার্যক্রম আরও কার্যকর হবে। পুলিশ বাহিনীকে প্রযুক্তিনির্ভর করা হবে।’ এছাড়া হিজড়াদের প্রতি যাতে কেউ অমানবিক আচরণ না করে সেজন্য পুলিশকে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।


শেয়ার করুন