২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৬:৫১:৩০ পূর্বাহ্ন
রাবির সংঘর্ষের ঘটনায় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের উদ্বেগ প্রকাশ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৩-২০২৩
রাবির সংঘর্ষের ঘটনায় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের উদ্বেগ প্রকাশ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ও স্থানীয়দের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে আহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

সোমবার (১৩ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড. এফ নজর”ল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মাসুদুল হাসান খান (মুক্তা) এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, বাসের মধ্যে বসার মত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ড্রাইভার ও হেল্পারের সাথে রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী বলে খ্যাত সমাজকর্ম বিভাগের ছাত্র আলামিন আকাশের বাকবিতন্ডা থেকে এই সংঘাতের শুরু। এরপর রাবির সাধারণ ছাত্র, স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ঘটনাটি রক্তক্ষয়ী রূপ ধারণ করে। প্রায় ৪ ঘন্টার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, হামলা, স্থানীয়দের ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পুলিশের নির্বিচারে রাবার বুলেট ছোড়া ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনায় প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী নির্মমভাবে আহত হয়।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সর্বোচ্চ ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনাটিকে হয়তো শান্ত করতে পারতেন। কিন্তু তারা তা না করে কালক্ষেপণ করেন এবং পরে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মহোদয়সহ তারা একসাথে ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর আনুমানিক রাত ৮:৩০টার পরে তারা ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার অব্যবহিত পরেই পুলিশের নির্বিচারে টিয়ার-গ্যাস নিক্ষেপ ও রাবার বুলেটে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। তারা আরও বলেন, ঘটনাটি জাতীয় রাজনীতিতে বিরোধী দলের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সরকারী নির্দেশনায় পুলিশের দমন-নিপীড়নের অপকৌশল।

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর পক্ষ থেকে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনের নির্লিপ্ততা ও ঘটনা সমাধানে ব্যর্থতায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে জড়িত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহবান জানান। সেইসাথে আহত সকল শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ খরচায় সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা, হলে এবং বিনোদপুরসহ ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থানরত সকল শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করা এবং ক্যাম্পাসে সকল ছাত্রদের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানসহ তাদের সহাবস্থানের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জোড়ালো দাবি জানান।

শেয়ার করুন