নওগাঁয় প্রেম আর বিয়ের সম্পর্ক গড়ে ব্লাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই সেতু নামের এক স্কুল শিক্ষিকার বর্তমানে নেশা হয়ে দাড়িয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় পুলিশের কাছে মুচলেখা দিয়ে মুক্তি পেলেন রাণীনগর উপজেলার সাবেক প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মজনুর রহমান, ব্যাংকার শাহাজাহান কবির ও শিক্ষিকা মাহমুদা ইমাম (সেতু) নামের তিন কপোত ও কপোতি। সম্প্রতি এই ঘটনা নওগাঁয় এক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
গোপন সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁ শহরের বাসিন্দা মাহমুদা ইমাম (সেতু)। পেশায় তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। প্রায় ১০-১২বছর আগে তার প্রথম বিয়ে হয় রাণীনগর উপজেলার এক ব্যক্তির সঙ্গে। সেই ঘরে জন্ম নেয় ৩সন্তান। বেশ কয়েক বছর আগে সেতু চাকরী করতেন রাণীনগরে। সেই সূত্রে তৎকালীন সময়ের রাণীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন মজনুর রহমান। তার সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে সেতুর। এই বিষয়টি সেতুর স্বামী জানতে পারলে অনেক নাটকীয়তার পর তাদের মাঝে বিচ্ছেদ হয়। এরপর সেতু ও মজনুর গোপনে বিয়ে করে। কিন্তু মজনুর প্রথম স্ত্রী ও তার পরিবারের চাপে সেতুকে তালাক দেয় মজনুর। এরপর সেতুর বিয়ে হয় পার্শ্ববতি সান্তাহার শহরের এক বিশিষ্ট ব্যবসায়ীর সঙ্গে। সেখানে সংসার চলাকালীন সময়ে আবারো নওগাঁয় কর্মরত ব্যাংকার শাহাজাহানের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সৃষ্টি হয় সেতুর।
পরবর্তি সময়ে সান্তাহারের ওই ব্যবসায়ী স্বামীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অলংকার ও টাকা হাতিয়ে নিয়ে সেতু তাকে স্বামী তালাক দেয়। এর মাঝে সেতু আবার মজনুর সঙ্গে গোপনে যোগাযোগের সৃষ্টি করে। কিন্তু মজনুর এক ব্যাংকারের সঙ্গে সেতুর সম্পর্কের কথা জানতেন না। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে শহরের পাটালীর মোড়ে ভাড়ায় বাসায় সেতু প্রথমে ব্যাংকারকে নিয়ে আসে রাত্রিযাপন করার সময় ভুল করে একদিন আগেই চলে আসেন আরেক প্রেমিক মজনুর রহমান। এরপর মজনুর বিষয়টি জানতে পেরে সেতু ও ব্যাংকারের সঙ্গে কথাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সেতু মজনুরকে ব্লাকমেইল করে মুক্তিপন দাবী করে। মজনুর বিষয়টি তার স্ত্রীকে জানালে স্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে সদর থানা পুলিশকে বিষয়টি জানায়। এরপর পুলিশ ওই তিনজনকে উদ্ধার করে তাদের পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে মুচলেখা নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেয়। এই রকম আরো অনেক ব্লাকমেইল করার ইতিহাস রয়েছে শিক্ষিকা সেতুর বিরুদ্ধে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জুয়েল মুঠোফোনে জানান, ওই মেয়ের পক্ষ থেকে কিংবা অন্য কারো পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না পাওয়ায় সবার কাছ থেকে মুচলেখা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।