২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:৪০:০৩ অপরাহ্ন
অস্ট্রেলিয়ায় না নিয়ে আমেরিকায় পার্সেল পাঠালো রাজশাহীর ডাক বিভাগ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৩-২০২৪
অস্ট্রেলিয়ায় না নিয়ে আমেরিকায় পার্সেল পাঠালো রাজশাহীর ডাক বিভাগ

অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানরত ছেলের কাছে ঈদের পোশাকসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিনিসপত্র পাঠিয়েছিলেন রাজশাহীর অবরসপ্রাপ্ত কলেজশিক্ষক আতাউর রহমান। কিন্তু ডাক বিভাগ এই পার্সেল অস্ট্রেলিয়ার বদলে নিয়ে গেছে আমেরিকায়। ভুক্তভোগী আতাউর রহমান নগরীর কাজলা এলাকার বাসিন্দা। তিনি বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক।

এ ঘটনায় আতাউর রহমান রোববার উত্তরাঞ্চলের জ্যেষ্ঠ পোস্টমাস্টার জেনারেল ড. মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে তিনি বলেছেন, গত ৭ মার্চ তিনি পোস্টমাস্টার জেনারেলের কার্যালয়ের ইএমএস বুকিংয়ের মাধ্যমে ৯ কেজি ৭৭০ গ্রাম ওজনের একটি পার্সেল বুক করেন। অস্ট্রেলিয়ার ৪/৪৮ হারস্টন রোড, কেলভিন গ্রোভ, ব্রিজবেন, কুইন্সল্যাণ্ড-৪০৫৯ পাঠাতে ১০ হাজার ১৮৬ টাকা পরিশোধও করেন।

কিন্তু তিনি জানতে পারেন, পার্সেলটি গেছে আমেরিকার ৬৭৬, হার্লি ড্রাইভ, অ্যাপার্টমেন্ট ১ কলম্বাস, ওএইচ ৪৩২০২ ঠিকানায়। এই ঠিকানায় থাকা এক বাংলাদেশী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আতাউর রহমান অভিযোগে বলেছেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ^াস করি ঘটনাটি আপনার প্রতিষ্ঠানের কারো না কারো ভুলের কারণে হয়েছে।’ তাই তিনি ওই পার্সেল দ্রুততম সময়ের মধ্যে সঠিক ঠিকানায় পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

জানতে চাইলে রাজশাহীর জ্যেষ্ঠ পোস্টমাস্টার জেনারেল ড. মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আতাউর রহমান যখন পার্সেল বুক করতে আসেন, তখন হাফিজুর রহমান নামের আরেক ব্যক্তিও এসেছিলেন। হাফিজুর রহমানের ছেলে থাকেন আমেরিকার ওই ঠিকানায়। তার কাছেই আতাউর রহমানের পার্সেলটি চলে গেছে। আর অস্ট্রেলিয়ায় থাকা আতাউর রহমানের ছেলের কাছে গেছে হাফিজুর রহমানের পার্সেল। দুজন একসঙ্গে এসেছিলেন, দুজনের পার্সেলের সাইজও প্রায় একই। তাই এভাবে ঠিকানা ওলট-পালট হয়ে গেছে। এখন অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকা থেকে দুই ছেলে পার্সেলটি একে-অপরের কাছে পাঠিয়ে দিলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’

তবে আতাউর রহমান জানিয়েছেন, তার পার্সেল আমেরিকায় হাফিজুরের ছেলের কাছে গেছে। তবে সোমবার পর্যন্ত হাফিজুরের পার্সেলটি তার ছেলের কাছে অস্ট্রেলিয়ায় যায়নি। পোস্টমাস্টার জেনারেল ড. মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান বলেন, ‘কাস্টমার যখন বুকিং করেন, তখন ঠিকানা দেখে নেওয়া তাদেরও দায়িত্ব। আমাদেরও ভুল আছে। এখন আসলেই কী হয়েছে তা জানতে আমি একটা তদন্ত কমিটি করে দিচ্ছি। তদন্তে কারও ভুল পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শেয়ার করুন