গঠনতন্ত্র সংশোধন করে বাণিজ্যের দিকে ঝোঁকা নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ব্যাখ্যাÑটিভি চ্যানেল, স্টেডিয়াম নির্মাণের কার্যক্রমগুলো চালিয়ে নেওয়ার জন্য আইনানুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
বিসিবি সভাপতি জানালেন, গঠনতন্ত্রে সংশোধনী হলেও বাণিজ্যের বিষয়টি বোর্ড সভাতে পাশ হতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ দুটি সংশোধনী ছাড়া আগের আর্থিক সব কার্যক্রমের অনুমোদন, নতুন বাজেটসহ সাধারণ কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রোববার বিসিবির বার্ষিক সাধারণ সভায় আঞ্চলিক ক্রিকেট নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ২০০০ সাল থেকে এই বিষয়ে আলোচনা হয়ে আসছে। তবে সর্বশেষ তিন বছর ধরে এজিএমে আলোচনার বড় অংশ ছিল আঞ্চলিক ক্রিকেট।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান জানালেন, আঞ্চলিক ক্রিকেট হলেও আসলে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে থাকবে সবকিছু। জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলোকে লিগ আয়োজনের জন্য আর্থিক অনুদান বাড়িয়ে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অডিটে আগামী বছর থেকে পরিবর্তন এসেছে। গ্রাম থমটন ইন্টারন্যালশকে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি।
নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমাদের যদি একটি টিভি চ্যানেল থাকে তাহলে যেসব খেলা অন্যরা না দেখাতে চায় সেগুলো আমরা দেখানোর চেষ্টা করব। ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক সময় আম্পায়ারিং নিয়ে কথা হয়। সরাসরি খেলা দেখালে সেসব সবাই সরাসরি দেখতে পারবে যে আসলে কী হচ্ছে। তবে কী করব না করব এটা এত সহজ নয়। দেখা যাক কী করি।’
বাণিজ্য নিয়ে নাজমুল হাসান বলেন, ‘যেটা বলা হচ্ছে বা আলোচনা হচ্ছে এর ধারের কাছেও নেই। সম্ভাব্য করা যেতে পারে এমন লেখা রয়েছে, তার মানে সেসব তো বোর্ড সভায় পাশ হয়েই এগোতে হবে। সবকিছু এত সহজ নয়।’
আঞ্চলিক ক্রিকেট ও জেলার লিগগুলো নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘জেলা ক্রিকেটে লিগের জন্য হয়তো দুই লাখ টাকা দিয়ে থাকে। তারা বলছে এই টাকায় হয় না। তাই চার লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যারা একাদিক লিগ করবে তাদের ছয় লাখ টাকা দেওয়া যেতে পারে। আবার সব জেলাকে যে দেওয়া হবে এমনটাও নয়।’
তিনি বলেন, ‘আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার মধ্যে বরিশাল বাদে আর সবগুলোর কাজ প্রায় হয়ে গেছে। আগে একটি টি ২০ টুর্নামেন্ট দিয়ে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চালানো হবে। এখানে দেখব কিভাবে কাজ হয়। আসল কথা হলো আঞ্চলিক ক্রিকেট হলেও মূল ক্ষমতা থাকবে বিসিবির হাতেই। আগে থেকেই আলোচনা রয়েছে জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কোচদের বিরোধ রয়েছে। কোচরা নাকি সরাসরি বলেন, আমরা তো বিসিবির লোক, আপনারা কারা? এগুলো তাই দেখার রয়েছে।’