মাহে রমজানে এমনিতে যানজটে অতিষ্ঠ নগরজীবন। দিনে গড়ে ১৬ ঘণ্টাও মিলছে না বিদ্যুৎ। ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকছে অনেক এলাকা। তার ওপর ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে নানামুখী সমস্যায় পড়েছেন নাগরিকরা। ফলে নগরীর সর্বত্র এখন বিদ্যুৎ ও পানির জন্য হাহাকার চলছে। চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ হওয়ায় সিলেটে হচ্ছে ঘনঘন লোডশেডিং। যার ফলে গ্রাহকদের পানি সরবরাহে বিঘœ ঘটছে। নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, মহানগরে চাহিদার পুরোটাই পানি উত্তোলন করা সম্ভব হলেও বিদ্যুতের কারণে সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
রমজানের মতো পবিত্র মাসে ইফতার ও সেহরির সময়ও বিদ্যুৎবঞ্চিত থাকতে হচ্ছে বিশাল জনগোষ্ঠীকে। ফলে নগরজুড়ে পানি সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। মহানগরে গরমের মাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিদ্যুতের লোডশেডিং ও পানির সঙ্কট তীব্র হচ্ছে।
মহানগরের মিরাবাজার এলাকার বাসিন্দা মিনশান জানান, রোজার সময় ইফতার এমনকি সেহরির আগেও লোডশেডিং হচ্ছে। একই সাথে পানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় পানিও তোলা যাচ্ছে না। আমরা এ কী আজব শহরে বাস করছি তা বুঝতে পারছি না।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর জানান, নগরীতে প্রতিদিন পানির চাহিদা প্রায় ১০ কোটি লিটার। মহানগরে চাহিদার পুরোটাই পানি উত্তোলন করা সম্ভব হলেও বিদ্যুৎ বিড়ম্বনার কারণে নগরীতে পানি সরবরাহ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটি এলাকায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা পানি সরবরাহ হয়। এই সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ চলে গেলে ওই এলাকায় ফের পানি সরবরাহ বন্ধ থাকে। বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে বর্তমানে চাহিদা অনুযায়ী পানি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।