রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মসজিদের গাছ ছাগলে খাওয়াকে কেন্দ্র করে একজন মারা যাওয়ার ঘটনার মামলায় আরো দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভোর রাত সাড়ে ৩ টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চর পাঁকা ইউনিয়নের সেতারাপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, গোদাগাড়ী উপজেলার সাগুয়ান ঘুন্টি এলাকার মৃত কামরুজ্জামানের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৪৫) এবং মৃত সেকেন্দার আলীর ছেলে আজিজুল হক (৬২)।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, হত্যামার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সিহাব।
এর আগে ঘটনার দিনই তিনজন গ্রেপ্তার হয় । গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, আব্দুল লতিফের ছেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলাম ও তার ভাই এলাকার রবিউল ইসলাম এবং একই এলাকার মনিরুল ইসলামের ছেলে সিফাত (২৭)।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার গোদাগাড়ী ইউনিয়নের সাগুয়ান ঘুন্টি গ্রামে ছাগলে গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটির সময় মসজিদ কমিটির সভাপতি নেজাম উদ্দীন মেম্বারের পক্ষের লোকজন ও আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুলের পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে।এতে রুহুল আমিন নামের একজন মারা গেছে।
নিহত রুহুল আমিন সাগুয়ান ঘুন্টি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে এবং নেজাম মেম্বারের পক্ষের লোক।
স্থানীয়রা জানান, সাগুয়ান জামে মসজিদের সভাপতি ছিলেন আজিজুল হক। তাকে বাদ দিয়ে নতুন করে নেজাম মেম্বারকে সভাপতি করে কমিটি গঠিত হয়।
এই কমিটির সদস্য ছিলেন নিহত রুহুল আমিন।আজিজুলের পক্ষের এক লোকের ছাগলে মসজিদের একটি গাছ খাচ্ছিল। এ সময় ছাগলটিকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে সভাপতি থেকে বাদ পড়ার ক্ষোভে আজিজুল হক নতুন সভাপতি নেজাম মেম্বারের ওপর চড়াও হয়ে কথা-কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন।
একপর্যায়ে আজিজুলের লোকজন মসজিদ কমিটির লোকজনের ওপর হামলা চালালে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
এবিষয়ে গোদাগাড়ী গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি আব্দুল মতিন বলেন, এই ঘটনায় নিহত রুহুল আমিনের স্ত্রী আকলিমা খাতুন সোমবার দিবাগত রাত ১২ টা ১০ মিনিটে মামলা দায়ের করেন। এতে মোট ৫ জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।