রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় অপর চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত মাইক ও অটোরিকশা ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত শনিবার রাতে উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের শিবপুর এলাকায় এঘটনাটি ঘটে। এঘটনায় মাইক ও অটোরিকশা ভাঙচুরের আিভযোগে রোববার দুপুরে দুর্গাপুর থানায় ২০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী শরিফুজ্জামান শরিফ বাদী হয়ে এ মামলা টি দায়ের করেন। এ মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে নওপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও নওপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামকে।
থানায় দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী শরিফুজ্জামান শরিফের মোটরসাইকেল প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণার মাইক উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের দিকে যায়। এসময় নওপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের বাড়ি শিবপুর পাকা রাস্তার উপর দিয়ে সেই প্রচার গাড়ি যেতে থাকে। এমন সময় ওই প্রচার অটোরিকশা লক্ষ্য করে শরিফের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল মজিদ সরদারের সমর্থকরা প্রচারগাড়ীর গতিরোধ করে। সেই সাথে অটোরিকশা চালক রহিদুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ওই এলাকায় মোটরসাইকেল প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণা না করতে হুমকি দেয়। হুমকির একপর্যায়ে অটোরিকশা চালক রহিদুল আসামীদের তাদের কথা না শুনে প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে মারধর করে ও নির্বাচনী প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত মাইক ও অটোরিকশা ভাঙচুর করে। পরে এঘটনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শরিফুজ্জামান শরিফ বাদি হয়ে ২০জনকে আসামী করে দুর্গাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে প্রচার মাইক ভাঙচুরের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মজিদ সরদার বলেন, তারা নিজেরাই প্রচার মাইক ভাঙচুর করে নাটকের জন্ম দিয়েছে। ওই এলাকায় তাদের ভোট নেই যেনে এমন নাটক তৈরী করে আমার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী শরিফুজ্জামান শরিফ বলেন, পুরো উপজেলায় মোটরসাইকেল প্রতীকের জোয়ার বইছে। আমার জনপ্রিয়তাই ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল মজিদের সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে আমার নির্বাচনী প্রচার মাইক ও অটোরিকশা ভাঙচুর করেছে।
শরিফুজ্জামান আরও বলেন, আমি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় বিধায় আইনের আশ্রয় নিয়েছি। এখন থানা পুলিশ নির্বাচনী শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে আমি আশারাখি।
এবিষয়ে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ইসলাম জানান, শনিবার সন্ধ্যায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। ওই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লেও পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। আপাতত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
এ ঘটনায় রোববার দুপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থী শরিফুজ্জামান শরিফ ২০ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।