টি-টোয়েন্টিতে কোনো সহযোগী দেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন স্কোর করে লজ্জার রেকর্ডই গড়ল বাংলাদেশ। সোমবার চলতি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ৩৭তম ম্যাচে নেপালের দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে মাত্র ১০৬ রানেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
এমন লজ্জার নজির গড়েও অবশ্য শেষ হাসি হেসেছেন সাকিব-শান্তরা। নেপালকে ৮৫ রানে গুটিয়ে দিয়ে ২১ রানের জয়ে সুপার এইটেও জায়গা সুনিশ্চিত করেছে টাইগাররা।
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারলেও শ্রীলংকা ও নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে সুপার এইটের যাওয়ার দাবিটা অনেকটাই জোরাল করে রাখে বাংলাদেশ। সেই দাবিকে পরিপূর্ণতা দিতে এদিন নেপালের বিপক্ষে জয়টা তাই দরকার ছিল। এমন ম্যাচে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ, ১৯.৩ ওভারেই অলআউট হয়ে যায় ১০৬ রানে।
দলের হয়ে শেষ দিকে রিশাদ হোসাইন ১৩ ও তাসকিন আহমেদ ১২ রান না করলে হয়তো স্কোরটা আরও কম হত। মোস্তাফিজ রান আউট হতেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। শুরুটা পেসার করে দিলেও, মূলত নেপালের স্পিনে ধসে যায় বাংলাদেশ দল।
তবে নেপালি পেসার সোমনাথ কামিও দারুণ বোলিং করেন, ৩ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। সমান দুটি করে উইকেট শিকার করেন তিন স্পিনার দিপেন্দ্র সিং, অধিনায়ক রোহিত পাওডেল ও সন্দিপ লামিছানে।
জবাব দিতে নেমে মাত্র ২৬ রানেই নেপালের পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে চাপ তৈরি করে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৮৫ রানেই নেপালকে অলআউট করে দেয় টাইগাররা।
আসলে এদিন বল হাতে জ্বলে ওঠেন তরুণ তুর্কি তানজিম হাসান সাকিব। পরপর তিন ওভারে তুলে নেন নেপালের ৪ উইকেট। নিজের কোটার চার ওভার বল করে ২টি মেডেন নেওয়ার পাশাপাশি মাত্র ৭ রান দিয়ে ওই ৪ উইকেট শিকার করেন জুনিয়র সাকিব।
মূলত তানজিম হাসান সাকিবের এই ক্যারিয়ার সেরা পারফরমেন্সের দৌলতেই এমন লো স্কোরিং ম্যাচে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ২১ রানে ম্য়াচ জেতে শান্তরা। ঈদের খুশির দিনে এই জয়ের ফলে গ্রুপ ‘ডি’ থেকে দুই নম্বর দল হিসেবে সুপার এইটে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ।
এই ম্যাচে তানজিম হাসান সাকিব ছাড়াও বল হাতে নেপালকে ধাক্কা দেন শততম ম্যাচ খেলতে নামা মোস্তাফিজুর রহমানও। ম্যাচে চার ওভারে বল করে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন কাটার মাস্টার।
নেপাল এক পর্যায়ে ৭ ওভারে ২৬ রানেই ৫ উইকেট হারায়। এরপরে কুশল মাল্লা ও দিপেন্দ্র সিং নেপালের ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কুশল ৪০ বলে ২৭ রান করে আউট হন। দিপেন্দ্র সিং নেপালের আশা বাঁচিয়ে রাখলেও সফল হতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৯.২ ওভারে ৮৫ রানেই অলআউট হয়ে যায় তারা।
তানজিম হাসান, মোস্তাফিজ ছাড়াও এদিন বল হাতে সফল ছিলেন সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। পরপর দুই বলে নেপালের শেষ দুটি উইকেট তুলে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন সাকিব। তবে দুর্দান্ত পার্ফরম করে ম্যাচ সেরা হন তারই জুনিয়র, তানজিম হাসান সাকিব। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ৯ উইকেট নিয়ে সেরা পাঁচে জায়গা করে নিয়েছেন এই ডানহাতি পেসার।