০৫ জুলাই ২০২৪, শুক্রবার, ১২:৫৬:৫০ পূর্বাহ্ন
বাঘায় আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজসহ গ্রেফতার ৭
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০৬-২০২৪
বাঘায় আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজসহ গ্রেফতার ৭

রাজশাহীর বাঘায় আ.লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (২২ জুন) রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।


জানা গেছে, গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে বাঘা উপজেলার সচেতন নাগরিকবৃন্দের ব্যানারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাভলু এবং বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলীর কর্মী সমর্থকরা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের কতিপয় ব্যক্তি দলিল লেখক সমিতির নামে ক্রেতার কাছে জোরপূর্বক অতিরিক্ত টাকা আদায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে।


অপর দিকে একই দিনে সকাল সাড়ে ১০টার বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বজন প্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে মানববন্ধনের ডাক দেয় বাঘা উপজেলা আওামীলীগ। উভয় পক্ষের কর্মী সমর্থকরা উপজেলা চত্বরে জড়ো হলে এরমধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ককটেল ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবলুসহ অনন্ত ৫০ জন আহত হন।


এ ঘটনায় পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাকুড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম মেরাজ, মারুফ হোসেন, তরঙ্গ আলী, শাজামাল লিটন, নাসির উদ্দিন, মতিউর রহমান, গোলাম মোস্তফাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকেই মেয়র আক্কাস ও উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু সহ তাদের অনুসারী নেতাকর্মীরা গ্রেফতার আতংকে রয়েছে। তবে অনেকেই গ্রেফতার এড়াতে নিরাপদ স্থানে সড়ে গেছে।


বাঘা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদি হয়ে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।


এ মামলায় ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামী করা হয়েছে। এ মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

শেয়ার করুন