১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০১:২৯:৩০ পূর্বাহ্ন
এবার ৪ কোটি টাকার সম্পদে ফাঁসছেন এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৭-২০২৪
এবার ৪ কোটি টাকার সম্পদে ফাঁসছেন এনবিআরের সাবেক কর্মকর্তা

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস বিভাগের সাবেক সহকারী কমিশনার মোখলেছুল রহমান ও তার পরিবারের চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। শুধু খোঁজ পাওয়া নয়, তথ্য-প্রমাণ মেলায় তা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।


দুদক সূত্রে জানা গেছে, মোখলেছুল রহমান ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে স্ত্রী ও ছেলের নামে সম্পদ গড়ে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেছেন। এমনকি দুদকের কাজে বাধা তৈরি করতে বিভিন্ন সময়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। যদিও আইনগত জটিলতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত মোখলেছুর রহমানের পরিবারের তিন সদস্য এখন চার্জশিটভুক্ত আসামি।


কমিশনের পক্ষ থেকে চার্জশিট বা অভিযোগপত্র অনুমোদন পাওয়ার পর এখন চলছে আদালতে দাখিল করার প্রক্রিয়া। শিগগিরই তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট দাখিল করবেন বলে জানা গেছে।


মোখলেছুল রহমান ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে স্ত্রী ও ছেলের নামে সম্পদ গড়ে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেছেন। এমনকি দুদকের কাজে বাধা তৈরি করতে বিভিন্ন সময়ে উচ্চ আদালতের সহায়তা নিয়েছেন। যদিও আইনগত জটিলতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত মোখলেছুর রহমানের পরিবারের তিন সদস্য এখন চার্জশিটভুক্ত


এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি দুদকের জনসংযোগ দপ্তরে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।


জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপ-পরিচালক) আকতারুল ইসলাম বলেন, গত ২৫ জুন কমিশনের পক্ষ থেকে কাস্টমস কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমানসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের ২ নভেম্বর দুদকের ময়মনসিংহ জেলা কার্যালয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।


প্রসঙ্গত, বর্তমানে এনবিআরের কাস্টমস বিভাগের সদস্য আলোচিত মতিউর রহমান ও কর বিভাগের প্রথম সচিব কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।


তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, মো. মোখলেছুর রহমান খান (সাহান) ১৯৮০ সালের ১ অক্টোবর কাস্টমস ও এক্সসাইজ অফিস বিভাগে পরিদর্শক পদে যোগদান করেন। তিনি গত ২০১২ সালে সহকারী কমিশনার পদে পদোন্নতি পান। ২০১৬ সালের ৫ আগস্ট সহকারী কমিশনার হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ কাস্টমস এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট থেকে অবসর গ্রহণ করেন। দ্বিতীয় আসামি তার দ্বিতীয় স্ত্রী কান্তি রহমান। তার প্রথম স্ত্রী ১৯৮৮ সালে মারা যাওয়ার পর ১৯৯৩ সালে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তার দুই ছেলের মধ্যে একজন ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী এবং অন্যজন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

শেয়ার করুন