২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০৩:১১:১২ পূর্বাহ্ন
কাফনের কাপড় পরে কোটা বাতিলের দাবিতে রাস্তায় শিক্ষার্থীরা
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৭-২০২৪
কাফনের কাপড় পরে কোটা বাতিলের দাবিতে রাস্তায় শিক্ষার্থীরা

সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল রেখে হাইকোর্টের আদেশের প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের মত ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় কাফনের কাপড় পরে তাদের রাস্তায় অবরোধ করতে দেখা গেছে।


বুধবার (৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে বেলা ১১টা থেকে মানববন্ধন ও পরে সড়ক অবরোধ করা হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবিসহ কোটা বাতিল উথাপন করেন। দাবি আদায় না হলে লাগাতার আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সেঁজুতি বলেন, আমরা কোটা চাই না। অবিলম্বে এর বাতিল চাই। আশা করি কোটা বাতিল করে আদালত রায় প্রদান করবেন।


যদি তা বাতিল না হয়, তাহলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। আন্দোলনকারী অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ভূমিকা সরকার বলেন, কোনো বৈষম্যহীন রাষ্ট্রে ৫৬ শতাংশ কোটা থাকতে পারে না। তীব্র আন্দোলনের মুখে সরকার যেখানে কোটা পদ্ধতি বাতিল করেছিল হাইকোর্ট কেন সেই কোটাকে আবার পুনর্বহাল করলো আমরা জানি না। আমি নিজে মেয়ে হয়েও বলছি,আমাদের মেয়েদের জন্য আলাদা কোটার প্রয়োজন নেই। নারী পুরুষ আমরা সবাই সমান। কোটা বাতিল হোক এটাই আমাদের চাওয়া। ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী তামিম ইকবাল রাজু, ২০১৮ সালের রক্তের দাগ আজও শুকায়নি।


আমাদের সেই সংগ্রাম ব্যর্থ হওয়ার পথে। কাফনের কাপড় পরে রাস্তায় নেমেছি। কোটা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না। এদিকে রাস্তা অবরোধ করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ জনগণ। ঢাকা থেকে আসা মো. মনিরুজ্জামান জানান, আমি অনেক দূর থেকে এসেছি। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে আটকে পড়ে আছি। এতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। নলছিটি থেকে আসা নুরে আলম শরীফ নামে এক যাত্রী জানান, আমরা চাই শান্তি।


তাদের আন্দোলনও চলুক, আমাদের চলাচলের পথও করে দেওয়া হোক। অনেক ব্যস্ততা নিয়ে বরিশালে যাওয়ার পথে রওনা দিয়েছি। অনেক্ষণ ধরে যানবাহনগুলো আটকে আছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মাইনুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, লোকপ্রশাসন বিভাগের মো. মিরাজ হোসেন, নাইমুর রহমান,কাইউম, ইংরেজি বিভাগের তামিম ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অপর্না আক্তার।


শেয়ার করুন