আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে অংশ নিতে বিএনপিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন। তবে তিনি কবে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেবেন, সে বিষয়ে এখনও নির্দিষ্ট কোনো তারিখ জানা যায়নি।
গণঅধিকার পরিষদের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের মধ্যে যেসব দলকে বিএনপি আসন ছাড় দিয়েছে, তাদের অনেককেই ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিএনপির ধারণা, ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করলে বিজয়ের সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে। এ কৌশলের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে শরিক কয়েকটি দলের শীর্ষ নেতা বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন।
সূত্র আরও জানায়, নির্বাচনী কৌশলের অংশ হিসেবে গণঅধিকার পরিষদও মো. রাশেদ খাঁনকে বিএনপিতে যোগদানের অনুমতি দিয়েছে, যাতে তিনি ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন।
এ বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর ঢাকা পোস্টকে বলেন, “নির্বাচনে জয়ের কৌশল হিসেবে আমরা পার্টি থেকে রাশেদ খাঁনকে বিএনপিতে যোগদানের অনুমতি দিয়েছি।”
এর আগে নিজ নিজ দল বিলুপ্ত করে বা দলীয় পরিচয় ত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ লেবার পার্টি (বিএলডিপি) সভাপতি শাহদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, জাতীয় পার্টি (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ এবং জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম)-এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।
সব মিলিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির রাজনৈতিক জোট ও সাংগঠনিক শক্তি আরও বিস্তৃত করার প্রক্রিয়া জোরালো হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

