কোপা আমেরিকার ফাইনালে মুখোমুখি ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও ২৩ বছর পর ফাইনালে পা রাখা কলম্বিয়া। দু’দলের ম্যাচ দেখতে মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়াম এলাকা পরিণত হয়েছে জনসমুদ্রে। ম্যাচের আগেই স্টেডিয়াম এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত। ম্যাচ শুরু করতে হয়েছে নির্ধারিত সময়ের ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট পর। তবে সেই ম্যাচের প্রথমার্ধটা কেটেছে হতাশায়। দু’দলের কেউই প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি। গোলশূন্য সমতায় শেষ হয়েছে কোপার ফাইনালের প্রথমার্ধ।
তবে এদিন প্রথমার্ধে দাপট ছিল কলম্বিয়ারই। ম্যাচের ৬ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত দলটি। যদি না জন করদোবার নেওয়া শট গোলবার ঘেঁষে বাইরে চলে যেত। এ দফায় বড় বাঁচা বেঁচে যায় আর্জেন্টিনা।
এরপর ১৯ মিনিটে এসে গোলের ভালো সুযোগ তৈরি করে আর্জেন্টিনা। আনহেল ডি মারিয়া ডি বক্সের ভেতর মেসিকে বল বাড়ান। অনেকটা ফাঁকায় দাঁড়িয়ে সেই বলে শট নেন মেসি। তবে তার সেই শট বেশ দক্ষতার সঙ্গেই রুখে দিয়েছে কলম্বিয়ার রক্ষণ। রক্ষণে প্রাচীর তুলে মেসির শট আটকে দিয়ে আর্জেন্টিনাকে বিরত রেখেছে গোল করা থেকে।
গোলের সুযোগ তৈরি করতে না পেরে ম্যাচের ৩২ মিনিটে ডি বক্সের অনেক বাইরে থেকেই জোরাল শট নেন জেফারসন লের্মা। অবশ্য তার সেই শট থাকেনি লক্ষ্যে। গোলবার ঘেঁষে বেরিয়ে যায় বলটি। খানিক বাদে আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। সেই আক্রমণে ডি বক্সে কলম্বিয়ার ফুটবলারদের কড়া ট্যাকলের শিকার হয়ে মাঠেই ব্যথায় কুঁকড়ে উঠেন মেসি। এরপর খানিক পর মাঠে নেমে ফের খেলা শুরু করলেও দলকে এগিয়ে নিতে পারেননি তিনি।
এরপর আর সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কলম্বিয়াও। তাতে প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য সমতায়। এদিন প্রথমার্ধে ৫১ শতাংশ বল দখলে রেখেছিল কলম্বিয়া। এ সময়ে মোট ৭টি শট নিয়েছে তারা। বিপরীতে আর্জেন্টিনার শট মোটে ২টি। দ্বিতীয়ার্ধে খেলার ধরণে পরিবর্তন না আনলে হয়তো বড় বিপদেই পড়তে হতে পারে লিওনেল স্কালোনির দলকে।