০৭ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১১:৩৭:০৪ অপরাহ্ন
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বাবার, হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বা মা ও মেয়ে
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৫-২০২৫
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বাবার, হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বা মা ও মেয়ে

রাজশাহীর বাঘায় যাত্রীবাহী বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক বাবা ও তাঁর পাঁচ বছর বয়সী মেয়ের পা কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ দুর্ঘটনায় বাবা-মেয়ের সঙ্গে থাকা অন্তঃসত্ত্বা মাও গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁর একটি হাত ভেঙে গেছে।


সোমবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে বাঘা-ঈশ্বরদী মহাসড়কের বাঘা পৌরসভার বানিয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।


আহত ব্যক্তিরা হলেন- নাটোরের লালপুর উপজেলার বেরিলাবাড়ি (জামতলা) গ্রামের জাহেদুল ইসলাম (শান্ত) (২৭), তাঁর স্ত্রী জেসমিন আক্তার (২৪) এবং তাঁদের মেয়ে উম্মে তুরাইফা খাতুন (৫)।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে জাহেদুল ইসলাম মোটরসাইকেলযোগে মেয়ে তুরাইফাকে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার একটি স্কুলে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী জেসমিন। পথে বানিয়াপাড়া এলাকায় পৌঁছালে বাঘা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী সুপার সনি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে তাঁদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।


দুর্ঘটনায় জাহেদুল ও তাঁর মেয়ের ডান পায়ের হাঁটু থেকে নিচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাঁদের সঙ্গে থাকা অন্তঃসত্ত্বা জেসমিনের ডান হাত ভেঙে যায়।



স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তাঁদের অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।


উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসিবুল হাসান বলেন, তিনজনই গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।


আহতদের এক আত্মীয় আবিদ হাসান দুপুরে বলেন, জেসমিন আক্তার সন্তানসম্ভবা। তাঁকে রামেকের অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। জাহেদুল ও তাঁর মেয়েকে অপারেশনের পর ঢাকায় নেওয়ার কথা বলেছেন চিকিৎসকেরা। আবিদ আরও জানান, জাহেদুল হার্ডওয়্যারের ব্যবসা করেন।


বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ফ ম আছাদুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন। বাস ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন