২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:০৫:৪৮ অপরাহ্ন
উন্নয়ন নিয়ে শেখ হাসিনার তথ্যের কারসাজি যাচাই হবে: ব্লুমবার্গকে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৮-২০২৪
উন্নয়ন নিয়ে শেখ হাসিনার তথ্যের কারসাজি যাচাই হবে: ব্লুমবার্গকে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

সম্প্রতি মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। কথা বলেছেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতের তথ্য-উপাত্তের গরমিলসহ নানা বিষয়ে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ডেটা নিয়ে আমাদের এখানে গুরুতর ঝামেলা আছে। ডেটা নিয়ে এখানে জালিয়াতি করা হয়েছে, চেপে রাখা হয়েছে। আমি এটাকে বলব ডেটা নৈরাজ্য।


দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলছেন, শেখ হাসিনার প্রশাসন সম্ভবত রপ্তানি, মূল্যস্ফীতি এবং মোট দেশজ উৎপাদন তথা জিডিপির ভুল তথ্য প্রকাশ করেছে। যা ‘নজিরবিহীন অর্থনৈতিক দুর্বলতা’ তৈরি করেছে।


৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যাওয়ার আগে শেখ হাসিনার সরকার ১৮ দশমিক ৩৬ ট্রিলিয়ন বা ১৮ লাখ কোটি টাকার বেশি বৈদেশিক ঋণ রেখে গেছে। যা মার্কিন মুদ্রায় ১৫৩ বিলিয়ন ডলারের সমান। এটি বাংলাদেশের অন্তত তিন অর্থবছরের বাজেটের সমান।



দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এই অবস্থায় বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য তিনটি বাধা বিবেচনা করছেন। সেগুলো হলো—সামষ্টিক অর্থনীতির অস্থিতিশীলতা, মূল্যস্ফীতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ঘাটতি। 


তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। যার জন্য শেখ হাসিনা ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করেছেন। কিন্তু আমরা সেগুলোকে যুক্তিযুক্ত বলে মনে করিনি।


বাংলাদেশের জিডিপিতে ট্যাক্স বা করের অবদান ৭ দশমিক ৩, যা বিশ্বে অন্যতম নিম্নহার। এই হারকে ২০২৫ সালের জুন নাগাদ ৮ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে বর্তমান সরকার।


দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এটি একটি প্যারাডক্স। আপনি ৫ থেকে ৭ শতাংশ হারে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছেন, কিন্তু আপনি সেই অনুপাতে কর সংগ্রহ করেননি। যার অর্থ মূলত, হয় এই প্রবৃদ্ধি কাল্পনিক ছিল অথবা যারা প্রবৃদ্ধি থেকে উৎপন্ন আয় থেকে উপকৃত হয়েছে, তারা করের আওতায় আসেনি এবং সম্ভবত এর একটি বড় অংশ দেশের বাইরে পাচার করা হয়েছে।


শেয়ার করুন