আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে মাথায় রেখে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোকে এক মঞ্চ বা প্ল্যাটফর্মে আনা যায় কি না তা নিয়ে দলের ভেতরে ও বাইরে অন্যদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
দলটির নেতারা বলছেন, ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভেদাভেদ ভুলে এক হয়ে কাজ করতে হবে- এটি কে ‘থিম’ ধরে ইসলাম ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেছেন তারা, যার মূল লক্ষ্য হলো পরবর্তী সংসদ নির্বাচন।
এসব রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও অনেকে মনে করছেন জামায়াতে ইসলামী ছাড়াও আরও কয়েকটি ইসলামপন্থি দলের অল্প পরিসরে হলেও নিজস্ব অবস্থান আছে এবং এর আলোকে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক অঙ্গনে সময় ও অবস্থান ভেদে তাদের কিছুটা প্রভাবও তৈরি হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক জোবাইদা নাসরীন বলেন, জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দলের প্রভাব আছে রাজনীতিতে কিন্তু তারা আসলে এককভাবে নির্বাচনি রাজনীতিতে আগে কখনো তেমন সফলতা পায়নি। আর এখন নতুন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ মাঠে নেই। ফলে নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণের কথা চিন্তা করেই হয়তো ধর্মভিত্তিক দলগুলো একজোট হওয়ার চিন্তা করছে।
প্রসঙ্গত, স্বাধীন বাংলাদেশে সংবিধান সংশোধন করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। সেই সুযোগ নিয়ে তখন নিষিদ্ধ ইসলামপন্থি কয়েকটি দল রাজনীতি শুরু করেছিল। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে সরকারের অংশ হয়েছিল জামায়াত।
শে এ মূহুর্তে ১১টি ইসলামপন্থী দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। তবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধনের বিষয়টি আদালতের সিদ্ধান্তে আটকে আছে। ২০১৩ সালে হাইকোর্ট এ নিবন্ধন বাতিল করেছিল।