যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য থেকে পাঁচ বাংলাদেশি নির্বাচিত হয়েছেন। বেসরকারি নির্বাচনী ফলাফল এবং স্থানীয় কমিউনিটি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরেরদিন বুধবার ফলাফল প্রকাশিত হয়।
বিজয়ী বাংলাদেশিরা হলেন-জর্জিয়া স্টেট সিনেটর পদে ডেমোক্রাট প্রার্থী শেখ এম. রহমান, একই স্টেটের অপর ডিস্ট্রিক্ট থেকে সিনেটর নাবিলা ইসলাম, কানেকটিকাট স্টেট সিনেটর মাসুদুর রহমান এবং নিউ হ্যাম্পশায়ার স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ আবুল খান এবং নিউজার্সি প্লেইন্স বরো টাউনশিপ থেকে কাউন্সিলম্যান ড. নুরান নবী।
নিউজার্সি প্লেইন্স বরো টাউনশিপ থেকে পঞ্চম মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছেন কাউন্সিলম্যান ড. নুরান নবী। তিনি ২০০৭ সাল থেকে টানা ১৪ বছর ধরে এ পদে আছেন। তার টাউনশিপে একজন মেয়র এবং ৫ জন কাউন্সিলম্যান রয়েছেন। তিনি কাউন্সিলম্যান হিসাবে কালচারাল এবং হেরিটেজ বিষয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আবুল বি খান। এ নিয়ে ছয়বার আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হলেন তিনি।
আবুল খান বলেন, ‘আমি খুবই আপ্লুত। মানুষ আমাকে ছয়বারের মতো সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত করেছে। আমি রিপাবলিকান থেকে পাস করলেও এখন আমি সর্বস্তরের, সব দলের মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করব। আমাদের সরকার সব সময়ই কর না বাড়ানোর পক্ষে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের উন্নতির পক্ষে। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করব।
এর বাইরে পেনসিলভেনিয়া, মিশিগান, নিউজার্সিসহ অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি-আমেরিকান কাউন্টি ও অন্যঅন্য পর্যায়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে তদের ফলাফল এখনো জানা যায়নি।
নানান সমীকরণ ও উত্তেজনায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের মাধ্যমে শেষ হয়েছে মার্কিন নির্বাচন। ২৯৫ ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে আবারও মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাম্প।
এদিকে ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জিতে যাবার পরে বহু হলিউড সেলিব্রিটিই মার্কিন মুলুক ছাড়তে চাইছেন।’ এবার তারকাদের সেই তালিকাটি দেখে নেওয়া যাক।
শ্যারন স্টোন
হলিউড অভিনেত্রী শ্যারন স্টোন যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে ইতালি চলে যেতে চাইছেন। চলতি বছর জুলাই মাসেই ‘বেসিক ইনস্টিংক্ট’ ছবির অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, মার্কিন মুলুক ছেড়ে ইতালি চলে যাবেন তিনি। সেখানে তার একটি বাড়িও আছে।
কারও নাম না উল্লেখ করে ‘নিউ ইয়র্ক পোস্ট’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্যারন বলেছিলেন, ‘এই প্রথম এমন কাউকে দেখলাম, যিনি এত ঘৃণা ও অত্যাচারের পরিবেশের মধ্যে থেকেও প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে নামতে পেরেছেন।’
রাভেন-সাইমন
২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন প্রথমবার ক্ষমতায় এসেছিলেন, অভিনেত্রী রাভেন-সাইমন জানিয়েছিলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে দেবেন। মার্কিন মুলুকে তার ভবিষ্যৎ নাকি অন্ধকার।
মিনি ড্রাইভার
ইতোমধ্যে যিনি যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে গেছেন ৫৪ বছর বয়সি ব্রিটিশ অভিনেত্রী মিনি ড্রাইভার। চলতি বছরের জুলাই মাসেই ‘দ্য টাইমস’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিনি জানিয়েছিলেন, লস অ্যাঞ্জেলেসে তিন দশক থাকার পর ইউকে-তে ফিরে গিয়েছেন মিনি। ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনার কথা আঁচ করে আগেই বলে দিয়েছেন, ‘ট্রাম্প এলে আমি হয়ত আর ফিরব না।’
সোফি টার্নার
ব্রিটিশ অভিনেত্রী সোফি টার্নার অভিনয় করেছিলেন ‘গেম অফ থ্রোনস’-এ। ট্রাম্পের জয়ের পর তিনিও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মার্কিন মুলুক থেকে চলে যাবেন জন্মস্থান ইউকে-তে।
চের
এই মার্কিন অভিনেত্রী-গায়িকা চিরকালই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন। একবার জানিয়েছিলেন, ট্রাম্পের প্রেসিডেনশিয়াল রুলের সময় তার স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে গিয়েছিল।
২০২৩ সালে ’দ্য গার্ডিয়ান’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চের বলেছিলেন, ‘গতবার আমার আলসার হয়ে যাচ্ছিল! এবারও যদি তিনি প্রেসিডেন্ট হয়ে ফিরে আসেন, আমাকে দেশে ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হবে।’