রাজশাহীর দুর্গাপুরে নারীকে উত্যক্ত করায় গণধোলাইয়ের শিকার লম্পট সেই যুবলীগ নেতা জিন্নাতুন অনিককে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে সিংগা পুর্বপাড়া নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত, অনিক পৌর এলাকার সিংগা পুর্বপাড়া গ্রামের মাহাবুর রহমান ভুলুর ছেলে ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) প্রফেসর ডাঃ মনসুর রহমানের অলিখিত রাজনৈতিক উপদেষ্টা দুর্গাপুরের আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল হক টুলুর ভাতিজা। তিনি উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক পদে ছিলেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আগের দিন গত ৪ আগস্ট রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা মেডিকেল মোড়ে আসামিরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সহযোগিতাকারীদের হত্যার উদ্দেশ্যে ব্যাপক নাশকতা চালায়। এ মামলায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ দারা ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) প্রফেসর ডা. মনসুর রহমানসহ ৭০ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার সন্দেহভাজন আসা
মি হওয়ায় অনিককে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত (৩ সেপ্টেম্বর) হত্যাচেষ্টা ও নাশকতা চালানোর অভিযোগে থানায় মামলটি দায়ের করেন দুর্গাপুর উপজেলার চক জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের শাহাদত হোসেন। উলেখ্য, গত সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে এক কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে ইভটিজিং করার অপরাধে যুবলীগ নেতা অনিককে গণধোলাই দিয়ে থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা। তার গণধোলাইয়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এব্যাপারে, দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দুরুল হোদা জানান, নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে যুবলীগ নেতা অনিককে আটক করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।