যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যেই ভোটদান শুরু হয়ে গেছে। মঙ্গলবার ভোট দিয়ে দেশের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট বেছে নেবেন মার্কিন নাগরিকেরা। নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনে জিততে দুজনেই আত্মবিশ্বাসী। তবে চূড়ান্ত ফলাফল আসতে দেরি হতে পারে।
বিভিন্ন জরিপে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প দুজনের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দেওয়া হয়েছে। জাতীয় ও দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে দুজনের যে তীব্র প্রতিযোগিতার আভাস দেওয়া হয়েছে তাতে জয়ের ব্যবধান হতে পারে খুব অল্প ভোটে। অনেক ক্ষেত্রে ভোট পুনর্গণনার দাবিও আসতে পারে।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তুলনায় এবারের নির্বাচনের ফল অনেকটা ধীরগতিতে আসতে পারে। কারণ, অনেক অঙ্গরাজ্যে ভোট গণনার নিয়মে বেশ কিছু পরিবর্তন এসেছে। অন্যদিকে আবার মিশিগানের মতো অঙ্গরাজ্যে গণনা দ্রুত হবে। কারণ, সেখানে ডাকযোগে আসা ভোট কমেছে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দিবাগত রাত বা সকালে ফল পাওয়া যাবে।
এর আগে ২০২০ সালে ৩ নভেম্বর মঙ্গলবার ভোট হয়েছিল। কিন্তু ইউএস টিভি নেটওয়ার্ক ৭ নভেম্বর সকালের আগে জো বাইডেনকে জয়ী ঘোষণা করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররা ভোট শেষ করে রাতে যখন ঘুমানোর প্রস্তুতি নেবেন, তখন ট্রাম্পের সমর্থকেরা বিজয়ী হওয়ার আত্মবিশ্বাস দেখাতে শুরু করতে পারেন। তবে সজাগ কমলার সমর্থকেরাও। আগাম ফল ঘোষণা করা হলে তারা সে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।
এদিকে দুই প্রার্থীই এবারের নির্বাচনে ২৭০ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পাওয়ার ক্ষেত্রে কাছাকাছি রয়েছেন। অধিকাংশ অঙ্গরাজ্যে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফল পাওয়া যায়, কিন্তু পেনসিলভেনিয়া ও নেভাদার মতো অঙ্গরাজ্যে ফল পেতে আরও দেরি হতে পারে।
পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে ইলেকটোরাল ভোট ১৯টি। গত সোমবার পর্যন্ত এই অঙ্গরাজ্যের ফল ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে হেলে পড়তে পারে বলে আলোচনা চলছিল।
কে জিততে যাচ্ছেন, নির্বাচনের রাতেই ভোটাররা সে ধারণা পেয়ে যান। এর আগে ২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন জেতেন, নির্বাচনের ফল ঘোষণা শুরুর পর মধ্যরাতেই নিজেকে জয়ী ঘোষণা করেন ট্রাম্প।