২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৯:৫০:২৫ অপরাহ্ন
রাবিতে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে শিক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-১১-২০২৪
রাবিতে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে শিক্ষার্থীদের হয়রানির অভিযোগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে এক প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। গত ৪ নভেম্বর হলের নোটিশ বোর্ডে এক শিক্ষার্থীর নামসহ নোটিশ টানিয়ে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় প্রশাসন। আরেক শিক্ষার্থীকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।



ওই শিক্ষক হলেন শেরেবাংলা হল প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম। ওই দুই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ এবং নাজমুস সাকিব।



নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি নিষিদ্ধ সংগঠন হওয়ার কারণে এই হলে ছাত্রলীগের গত ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর প্রকাশিত তালিকায় পদধারী হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে শেরেবাংলা ফজলুল হক হলে বর্তমানে অবস্থানকারী এবং নতুনভাবে আবাসিকতা লাভের জন্য প্রাথমিকভাবে তালিকাভুক্ত ছাত্রদের আবাসিকতা কেন বাতিল করা হবে না তা আগামী ১০ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে অফিসে জানানোর জন্য বলা হয়েছে।



তবে ওই দুই শিক্ষার্থীর দাবি শুধু নামের মিল থাকায় তারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষকে জানালেও তিনি নোটিশ এখনো বহাল রেখেছেন বলে জানান তারা। 



এ বিষয়ে রাজু আহমেদ বলেন, এই নোটিশ দেখার পর প্রাধ্যক্ষের কাছে গিয়ে সব পরিষ্কার করার পরও তিনি নোটিশ রেখেছেন। রাজু নামে হলে আরও ৩ জন শিক্ষার্থী আছেন, কিন্তু নোটিশে আমার নামই কেন এলো আমি জানি না। প্রাধ্যক্ষকে বলেছেন এটি ভুল করে হয়েছে; কিন্তু নোটিশ সরাতে বললে তিনি বলেন- ‘তুমি যদি ছাত্রলীগের না হয়ে থাকো তাহলে নোটিশে সমস্যা কই।’ আমি মাস্টার্সের শিক্ষার্থী, বিভাগের শিক্ষার্থীরা দেখে আমায় ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করছে আমি আবার কবে এসবে (ছাত্রলীগ) গেলাম।



আরেক শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব বলেন, ২৬ তারিখ সিলসিলায় আমি জেলা সমিতির একটা মিটিংয়ে ছিলাম। তখন হলের প্রভোস্ট আমাকে ফোন দিয়ে বলেন- ‘তুমি কি নাজমুস সাকিব বলছ? তখন আমি বলছিলাম, জ্বী স্যার আমি নাজমুস সাকিব। তখন স্যার আমাকে বলে, তোমার রুমে কি মাহবুব, ফরিদ আর সৈকত থাকে? তখন আমি বলছিলাম, জি স্যার ওরা থাকে। পরে তিনি আমাকে বলেন, তুমি শেরেবাংলা হলের ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তুমি জানো ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তুমি হলে থাকতে পারবে না। তখন সঙ্গে সঙ্গে আমি স্যারকে বলি- স্যার আপনার ভুল হচ্ছে। আমি কখনো তাদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। হয়তো আপনার তথ্যগত ভুল হচ্ছে। পরের দিন স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি আমাকে বলেন, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্সের একটা ছেলের নাম তোমার নামেই ছিল। তাই আমাদের তথ্যগত ভুল হয়েছে। পরে আমি বললাম, সাধারণ শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে হয়রানি করা কেন হচ্ছে? তিনি উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে গেলেন।



অভিযোগের বিষয়ে শেরেবাংলা হল প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবং ছাত্রলীগের সর্বশেষ কমিটির তালিকার নামের সঙ্গে মিল থাকায় তাদের এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাদের ১০ দিনের মধ্যে লিখিত দিতে বলা হয়েছে। এরপর সেটা হল প্রশাসন তদন্ত করবে। যদি তারা জড়িত না থাকে তবে তাদের নাম বাদ দেওয়া হবে। তবে বিভাগে নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

শেয়ার করুন