২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:৩১:৩৯ অপরাহ্ন
কাল পুরো এলাকায় শোডাউন দেবো: মাহি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০১-২০২৪
কাল পুরো এলাকায় শোডাউন দেবো: মাহি

রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ঢালিউডের চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নিপা (মাহিয়া মাহি) বলেন, ফলাফল যা হবার হবে, আমি হারি আর জিতি ইনশাআল্লাহ কালকে (সোমবার) পুরো এলাকাতে একটা শো ডাউন দেবো। সেটি হেরে গেলেও সবাইকে জানান দিবো, আমি তাদের সাথে আছি। ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে এলাকায় উৎসব মূখর পরিবেশ চলছে। প্রশাসন খুবই অ্যাকটিভ। সুন্দর করে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট হচ্ছে।


সোমবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ১০ টার দিকে তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। মাহি আসনটি থেকে প্রাক-প্রতিকে নির্বাচন করছেন।


প্রত্যেকটি কেন্দ্রে এজেন্ট দেয়ার বিষয়ে মাহিয়া মাহি বলেন, সব কেন্দ্রেই এজেন্ট দেয়া হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় কেউ (এজেন্ট) একটু লেট করেছে। কিছু কিছু জায়গায় এজেন্টরা স্বাক্ষর করে ঢুকতে লেট করেছে। তবে সব কেন্দ্রেই আমার লোকজন আছে। এটা আমার প্রথম নির্বাচন। আপনারা সবাই জানেন, অন্যদের মতো আমি একদম পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ না। অনেকেই আমার বয়সের আগে থেকে রাজনীতির সাথে যুক্ত। তাদের কার্যক্রম যতটা মসৃণ হবে, সেখানে আমার তো একটু ঘাটতি থাকবেই। তবে ওভারঅল সবকিছু ভালোই আছে।


জয়ী হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, পাস করি, আর ফেইল করি। এখন আমার কাছে বড় বিষয় না। তবে আমি মানুষের এতো কাছাকাছি গিয়েছি, এতো বয়স্ক মানুষের দোয়া পেয়েছি, প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েছি এবং অনেক মানুষের সাথে কথা বলেছি। মানুষের কষ্টের কথা শুনেছি, এর থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। তাদের জন্য আমার অনেক করণীয় আছে। আমি যদি সুপ্রিম পাওয়ার পাই, তাহলে বৃহৎ পরিসরে তাদের সহযোগিতা করতে পারবো। আর না পেলেও আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাদের সহযোগিতা করবো।


মাহিয়া মাহি বলেন, একটা বিষয় শেখার আছে। পাঁচ বছর জনগণের কাছাকাছি গেলে, তাদের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে হবে না। আমি মনে করি আপনি যদি ৫ বছর সময় পান, তাহলে সেটি যথেষ্ট। প্রত্যেকটা জনগণের সাথে যোগাযোগ গড়ে তোলা সম্ভব। আমি যেহেতু প্রচারণার সময়টা কম পেয়েছি, এর মধ্যেও যথেষ্ট মানুষের কাছে গিয়েছি। ভোট কেন্দ্রগুলোতে তুলনামূলক নারীদের উপস্থিতি বেশি। ভোট দিতে আসার জন্য নারীদের যে একটা উচ্ছ্বাস।


প্রশাসনের কাছে প্রত্যাশা শুধু ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু নয়, পুরো প্রক্রিয়াটা স্ষ্ঠুুভাবে সম্পন্ন হবে। কেউ কোনো ধরনের হট্টগোল করলে কেউ যেনো ছাড় না দেয়। আমি শুনেছি, ভোট হতে হতে তিনটা থেকে ৪টার দিকে বিভিন্ন ভেজাল (বিশৃঙ্খলা) দেখা দেয়। এই রকম কেউ যাতে করতে না পারে, এটার জন্য শক্ত অবস্থানে থাকবেন এটা প্রত্যাশা করি।


শেয়ার করুন