২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৪:০৩:২৪ অপরাহ্ন
পুঠিয়ায় নির্বিচারে পুকুর খননে ধ্বংস হচ্ছে শত শত বিঘা আবাদি কৃষি জমি তবু ও প্রশাসন নিরব
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০৩-২০২৩
পুঠিয়ায় নির্বিচারে পুকুর খননে ধ্বংস হচ্ছে শত শত বিঘা আবাদি কৃষি জমি তবু ও প্রশাসন নিরব

দিন-রাতে পুকুর খননে সয়লাব  রাজশাহীর পুঠিয়ার উপজেলার শিলমাড়িয়াতে তিন  ফসলি  কৃষি জমি। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ হওয়ার কারণে দেশের সকল জেলার মতো রাজশাহীর মানুষ কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল।  


এই জেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। অথচ রাজশাহী জেলার পুঠিয়ার কিছু প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের  ছত্র-ছায়ায় সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করেই উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের ফসলি জমির প্রাণকেন্দ্র রাতোয়াল, সরগাছি ও মালি পাড়া বিলে  তিন ফসলি কৃষি জমি ধ্বংসে মেতে চলেছেন রঞ্জু, মিজানুর ও লতিফের মত প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। উক্ত বিলের তিন-চারটি জায়গায়  তারা  দিন-রাত নির্বিচারে অবৈধ পুকুর খননে সয়লাব করে চলেছেন প্রায় ২০০ বিঘার বেশি আবাদি কৃষি জমি। 


কৃষি জমি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে সরকার যেখানে প্রতিনিয়ত ভূমিকা রেখে চলেছেন। কিন্তু সেখানে পুঠিয়া উপজেলার মাঠ পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট  প্রশাসনের তেমন কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায় না। তবে মাঝে মাঝে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে নামমাত্র অভিযান পরিচালনা করা হলেও আবার তারা জরিমানার অর্থ মিটিয়ে ভেকুর তান্ডব চালাতে শুরু করে শস্য ফলা ফসলি জমিতে। 


বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি বান্ধব সরকার। সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিনিয়ত কৃষি জমি রক্ষায় প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। যা চলমান। এছাড়াও আইন অনুযায়ী কৃষি জমি ধ্বংস করা অপরাধ। কিন্তু এই উপজেলায়  কৃষি জমি রক্ষায় প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা দৃশ্যমান না থাকায় প্রতিনিয়ত  এভাবেই প্রভাবশালীদের হাতে খেটে খাওয়া কৃষি নির্ভরশীল মানুষের ফসলি শত শত বিঘা কৃষি জমি নির্বিচারে ধ্বংস হচ্ছে অবৈধ পুকুর খননে। স্থানীয় প্রশাসন কৃষি জমিতে পুকুর খনন বন্ধে কঠোর অবস্থানে থাকার আশ্বস্ত করলেও  প্রকৃতপক্ষে বর্তমানে দিনের পরিবর্তে  অধিকাংশ রাতের অন্ধকারে  চলমান খনন বন্ধে  স্থানীয় প্রশাসনের কার্যত কোন পদক্ষেপ নেই  বলে ভুক্তভোগীরা জানান।


কোন ভাবেই মান্য হচ্ছে না জাতীয় ভুমি ব্যবহার নীতিমালা ও পরিবেশ আইন। ফলে এই এলাকার কৃষক ব্যপক খাদ্য নিরাপত্তা সহ পরিবেশ বিপর্যয়ের হুমকিতে পড়েছে। তাই কৃষি জমি রক্ষায় ও পরিবেশ বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইনগত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।

শেয়ার করুন