গত সপ্তাহের শুরুতে নিউ ইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে দাবি করেছিল, রাশিয়া ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে এক সীমিত সংঘর্ষে কয়েকজন উত্তর কোরিয়ার সেনা নিহত হয়েছে। এবার বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি নিশ্চিত করে বলেছেন, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে মোতায়েন উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা যুদ্ধক্ষেত্রে কিয়েভের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। দুই পক্ষের সংঘর্ষের ফলে প্রাণহানি ঘটেছে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
জেলেনস্কি বলেছেন, ১১ হাজার উত্তর কোরিয়ার সৈন্য এই অঞ্চলে রয়েছে, যেখানে রাশিয়ার ভূখণ্ডে ইউক্রেনের তিন মাসের সামরিক অনুপ্রবেশ থমকে গেছে।
জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে ইউরোপীয় রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন, ’১১ হাজার উত্তর কোরিয়ার সৈন্য বা উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর সৈন্য বর্তমানে আমাদের দেশের উত্তরে কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের সাথে সীমান্তে রাশিয়ান ফেডারেশনের ভূখণ্ডে উপস্থিত রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ’এই সৈন্যদের মধ্যে কিছু ইতোমধ্যেই ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে শত্রুতায় অংশ নিয়েছে। হ্যাঁ, ইতোমধ্যেই লোকসান হয়েছে, এটাই বাস্তবতা’।
মার্কিন নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের মধ্য দিয়ে ইউক্রেন পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হবে আশা করা হচ্ছে। কারণ এই যুদ্ধ থামানোর কথা আগ থেকে বলে আসছেন ট্রাম্প। মনে করা হচ্ছে, ট্রাম্পের মৌন নীতির কারণে রাশিয়া দখলকৃত ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ধরে রাখতে পারবে। বিশেষ করে ডনবাস ও ক্রিমিয়া অঞ্চলগুলো রাশিয়ার হাতে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।
তবে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের ধারণা, দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন রাশিয়াকে আগ্রাসন চালাতে আরো বেশি শক্তিশালী করে তুলবে। যত সময় যাচ্ছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামনের সারিতে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে কিয়েভ। এরমধ্যে ইউক্রেন সেনাপ্রধান সতর্ক করে বলেছেন, তার বাহিনী যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ‘সবচেয়ে শক্তিশালী রাশিয়ান আক্রমণের সম্মুখীন হচ্ছে’।