অন্তর্বর্তী সরকারে উত্তরাঞ্চল থেকে উপদেষ্টা নিয়োগের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে রংপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ জনতা।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রংপুরের লালবাগের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হন তারা।
সেখান থেকে তারা মিছিল নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে রংপুরের মডার্ন মোড়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় সড়কের দুই পাশে প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়।
বক্তারা অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের সঙ্গে বৈষম্য করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের ১৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের হলেও উত্তরাঞ্চল থেকে কাউকে নেওয়া হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকার এভাবে চললে আঞ্চলিক বৈষম্য আরও বাড়বে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুরের অন্যতম সমন্বয়ক ইমরান আহমেদ বলেন, রংপুর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সূতিকাগার। আবু সাঈদের রক্তের মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শুরু হয়েছিল। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রংপুরে এসে বলেছিলেন, রংপুর হবে দেশের অন্যতম সেরা জেলা। কিন্তু রংপুর অঞ্চলের জনগণের হয়ে কথা বলার সরকারে একজনও উপদেষ্টা নেই।
এ সময় বক্তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংসদের (ডাকসু) সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেনকে উপদেষ্টা করার দাবি জানান।
দাবি মানা না হলে সড়ক ও রেলপথ অবরোধসহ রংপুর বিভাগ অচল করার মতো কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় আঞ্চলিক বৈষম্য দূরীকরণে উত্তরবঙ্গের ছাত্র-জনতার পক্ষে তিন দফা দাবি তুলে ধরেন বক্তারা।
বিতর্কিত এবং জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করেন না, এমন কোনো উপদেষ্টাকে অন্তর্বর্তী সরকারে রাখা যাবে না, নীতি প্রণয়নে উত্তরবঙ্গের বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের পরামর্শ নিতে হবে।
এ সময় সেখানে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুরের অন্যতম সমন্বয়ক ইমরান আহমেদ, আশফাক আহমেদ, নাহিদ হাসান খন্দকার, ইমতিয়াজ আহমেদ, ইয়াসির আরাফাত, কারমাইকেল কলেজ শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম, শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।