২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৪:১৮:০১ পূর্বাহ্ন
চারঘাটে আগুণে পুড়ে ৫টি বাড়ী ভস্মিভুত, খোলা আকাশের নিচে বসবাস
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৩-২০২৪
চারঘাটে আগুণে পুড়ে ৫টি বাড়ী ভস্মিভুত, খোলা আকাশের নিচে বসবাস

রাজশাহীর চারঘাটে আগুণের লেলিহান শিখায় ৫টি বাড়ী পুড়ে ভস্মিভুত, কেড়ে নিলো একটি লক্ষাধিক টাকা মুল্যের তরতাজা গরুর প্রান। দিশেহারা বাড়ী গুলোর লোকজন। পরণের কাপড় ছাড়া একটি জিনিসিপত্রও বের করতে পারেনি অসহায় পরিবারের লোকজন।


তবে তাৎক্ষনিক সময়ে পরিবার গুলোর পাশে দাড়িয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ ফকরুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামিম আহম্মেদ। ফয়ার সার্ভিসের ৭ সদস্যের একটি টিম ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। সোমবার সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর নামক গ্রামে আগুনের এ ঘটনা ঘটে।


নিমপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জানান, সোমবার সন্ধ্যার আগ মহুর্তে উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের জনৈক আজিজুল হকের রান্না করা চুলার আগুন থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। এরপর ওই বাড়ীর শফিকুল, রিপন আলী, জারমানের বাড়ীতেও আগুন লেগে যায়। এরপর পাশের জাবেদ আলীর সেমি পাকা ঘরে আগুন লেগে গেলে আগুনের লেলিহান শিখায় ৫টি পরিবার পুড়তে থাকে। স্থানীয়রা বাঘা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে সেখানকার রিডার রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ৭ সদসের একটি টিম এসে ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। আগুন নিয়ন্ত্রনে আসার আগেই ৫টি পরিবারের সব কিছু পড়ে ভষ্মিভুত হয়ে যায়। কেড়ে নেয় লক্ষাধিক টাকা মুল্যের একটি গুরুর জীবন। এতে ৫টি পরিবারের মাথা গোজার কিছুই অবশিষ্ট নেই। অনেকটা খোলা আকাশের নিচে পড়ে যায় অসহায় পরিবার গুলো।


আগুনে পুড়ে নিস্ব শফিকুল বলেন, আগুন হঠাত এতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল যে পরণের কাপড় ছাড়া কিছুই বের করা সম্ভব হয়নি। এমনকি খাবারের চাল পর্যন্ত বের করতে পারিনি আমরা কেউ।


এ দিকে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অসহায় পরিবারের মাঝে নগদ টাকা ছাড়াও খাবার তুলে দেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম,নিমপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামিম আহম্মেদ।


উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামিম আহম্মেদ জানান, তাৎক্ষনিক সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি পরিবারকে নগদ ২ হাজার করে মোট ১০ হাজার টাকা, ৩০ কেজি করে শুকনা খাবার দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান ৫টি পরিবারকে ১০ হাজার টাকা, ১০টি কম্বল ও ৫ চাদর প্রদান করেছেন। অপর দিকে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ৫টি পরিবারকে নগদ ৫ হাজার টাকা, ৫টি কম্বল ও ৫০ কেজি চাউল তুলে দিয়েছেন।


শেয়ার করুন