২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৫:০১:০৪ পূর্বাহ্ন
বাঘায় মনিগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৭-২০২২
বাঘায় মনিগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মিলন মেলা অনুষ্টিত হয়েছে। শনিবার (৯ জুলাই) দিনব্যাপি এই মিলন মেলা অনুষ্টিত হয়।
জানা যায়, মনিগ্রামের স্থানীয় বিদ্যানুরাগী মরহুম খয়েরুল্লাহ কবিরাজের প্রচেষ্টায় ১৯৪৯ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়। ৭৩ বছরে বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা লাভ করে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে অনেকেই হয়েছেন আদর্শ কৃষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, জজ, ব্যারিষ্টার। তাদের নিয়ে আয়োজিত অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন মিলন মেলা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ। প্রভাষক আব্দুল হানিফ মিঞার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সামজির আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, আতিকুল ইসলাম, রাসেল কবীর, মাহাবুল ইসলাম।

এ বিষয়ে ১৯৮২ সালের প্রাপ্তন ছাত্র অধ্যাপক ডা. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘অনেক বছর হলো স্কুল ছেড়েছি। এই এলাকায় আসলেও স্কুলে আসা হয় না। তবে পুনর্মিলনিতে এসে খুব ভালো লাগছে। অনেক বন্ধুবান্ধবকে একসঙ্গে পেয়েছি। অনেক দিন পর জমিয়ে আড্ডা দেওয়া হলো।

আরেক প্রাপ্তন ছাত্র সহকারি অধ্যাপক তানজিলা বেগম বলেন, ‘স্কুল ছেড়েছি ১৫ বছর আগে। এই স্কুল থেকে শিক্ষা নিয়ে শিক্ষক হতে পেরেছি। এটি আমার প্রাণের স্কুল, আমার ভালোবাসার ও আবেগের স্কুল। আজ এই প্রাঙ্গণে তারার মেলা বসেছে। নিজের কাছে খুবই ভালো লাগছে।

আয়োজিত মিলন মেলা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও প্রাপ্তন ছাত্র আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের এ স্কুলটি বহু ঘাত-প্রতিঘাতের ভেতর দিয়ে আজ ৭৩ বছরে পা রেখেছে। এ স্কুল আমাদের বিরাট স্মৃতি।

কমিটির যুগ্ন আহ্বায়ক ও প্রাপ্তন ছাত্র হাসানুজ্জামান বলেন, কত দুরন্তপনা যে করেছি, আজও চোখের সামনে ভাসে। এই স্মৃতিগুলো আজীবনের জমানো সুখ। এই আয়োজনটা স্মৃতিতে অমলিন থাকবে।
এছাড়া বিদ্যালয়ের প্রাপ্তন ছাত্র অধ্যাপক তানজিলা বেগম, ডা. মিনারুল ইসললাম, আতিকুর রহমান, নুসরাত তানজিদ, নুরুজ্জামান ভান্ডারি, আব্দুল মান্নান, ডক্টর জহুরুল ইসলাম, শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর হমান, শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, শিক্ষক অসিস কুমার সরকার, সাকলায়েন রাজন, সাকলায়েন সাজন, লিটন কবিরাজ, শিক্ষক শমসের আলীসহ তারা অনুভূতির কথা জানিয়ে বলেন, এই স্কুল থেকে অনেক বড় বড় মানুষ তৈরি হয়েছে। অনেকের নাম শুনেছি, কিন্তু দেখা হয়নি। আজ অনেকের দেখা পেয়েছি। তাদের কথা শুনে অনুপ্রাণিত হয়েছি। ভালো কিছু করতে হবে এ রকম একটা তাগিদ আরও বেশি অনুভূত হচ্ছে। ‘পুরণো দিনের কথা সেকি ভোলা যায়, চোখের দেখা, প্রানের দেখা সেকি ভোলা যায়’। পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের ছাত্ররা ছিল বেশ উচ্ছাসিত।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রাচীনতম এই বিদ্যাপীঠের মিলন মেলায় ১৯৪৯-২০২২ সালের প্রাক্তন ছাত্রদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। আমন্ত্রণে প্রায় ৫ শতাধিক প্রাক্তন ছাত্রদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে পুরো শিক্ষাঙ্গন।

দ্বিতীয় পর্বে স্থানীয় ও অতিথি শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এছাড়া কবি হাফিজুর রহমানের সম্পাদনায় মনিগ্রাম উ”চ বিদ্যালয়’ নামের একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়।

শেয়ার করুন