নিরাপদে ইউক্রেনীয় শস্য রপ্তানি করার বিষয়ে আলোচনা করতে বুধবার আঙ্কারায় তুরস্ক, রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা জাতিসংঘের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
ধারণা করা হচ্ছে— এ আলোচনা সফল হলে ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানি করা সম্ভব হবে এবং বিশ্বে খাদ্য সংকট কমবে। খবর আনাদোলু ও আলজাজিরার।
তবে আলোচনায় বেশ কিছু শর্ত রেখেছে মস্কো। তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার বলেছেন, তুরস্ক, রাশিয়া ও ইউক্রেনের সামরিক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধিদল ইস্তানবুলে আলোচনা করছেন।
ইউক্রেনীয় বন্দরগুলোতে অপেক্ষারত শস্য সমুদ্রপথ ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক বাজারে নিরাপদ স্থানান্তরের বিষয়ে আলোচনা করছেন তারা।
বিশ্বের বৃহত্তম শস্য সরবরাহকারী ইউক্রেনে চলমান সংঘাত বিশ্বে খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। এতে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।
কৃষ্ণসাগরের বিশেষ করিডর ব্যবহার করে ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানি নিয়ে জাতিসংঘ, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে তুরস্ক।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ চলতে থাকায় ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের অনেক বন্দর অবরুদ্ধ। ফলে এসব বন্দর ব্যবহার করে পণ্য রপ্তানি করতে পারছে না দেশটি।
ইউক্রেনের সরকারি তথ্যানুযায়ী, দেশটির মোট রপ্তানির প্রায় এক-পঞ্চমাংশ হচ্ছে খাদ্যশস্য।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলা শুরুর পর থেকে দেশটির বেশ কিছু অঞ্চল দখলে নিয়েছেন রুশ সেনারা। কিয়েভ এর পর থেকে মস্কোর বিরুদ্ধে ওই সব অঞ্চলের খাদ্যশস্য চুরির অভিযোগ করেছে। অন্যদিকে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ অস্বীকার করা হচ্ছে।
আলোচনা শুরুর আগে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, ইউক্রেন থেকে শস্য রপ্তানি শুরু করার জন্য আলোচনার মধ্য দিয়ে আরও অনেক দূর যেতে হবে।
আমরা নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। কিন্তু এখনো অনেক দূর যেতে হবে। অনেকে এ নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু আমরা তা করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় সমস্যাটির সমাধান করতে হবে।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওলেগ নিকোলেঙ্কো বলেছেন, এই প্রেক্ষাপটে একটি সমাধান খুঁজে বের করতে সক্রিয় প্রচেষ্টার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।