যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠান আগামী ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে তার আগে ইউক্রেনে হামলার পরিমাণ বাড়িয়েছে রাশিয়ান বাহিনী। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, দোনেতস্ক এবং লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক, খেরসর এবং ঝাপোরিজজিয়া অঞ্চল থেকে ইউক্রেন বাহিনীকে অবশ্যই সরে যেতে হবে।
পুতিন আরও বলেন, যত তাড়াতাড়ি কিয়েভ ঘোষণা করবে তারা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে প্রস্তুত... এবং তারা ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা বাদ দিয়েছে, তখনই আমাদের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি এবং আলোচনার নির্দেশ আসবে।
তবে গত নভেম্বর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার বিজয়ের পরিকল্পনা জানান এবং ন্যাটোতে যোগদানের কথাও জানান। তবে ট্রাম্প ক্ষমতা নেওয়ার পর ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও আর্থিক সহযোগীতা কমতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
গত ২৭ নভেম্বর রুশ বাহিনী ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনের কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে রাশিয়া ইউক্রেনে এক হাজার ৫০০ বিমান হামলা চালিয়েছে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর আজ পর্যন্ত টানা এক হাজার আট দিনের মতো চলছে দেশ দুইটির সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই।