শেষ তিন ওভারে ম্যাচ জিততে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চায় ২০ রান। উইকেটে আছেন ফিফটি হাঁকানো রোভম্যান পাওয়েল ও থিতু হওয়া রোমারিও শেফার্ড। ম্যাচটা বুঝি হেরেই গেল বাংলাদেশ। না শেষ পর্যন্ত সেটি হতে দেয়নি বাংলাদেশ। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে বিজয় দিবসের দিনে বাংলাদেশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিজয় এনে দিয়েছেন তাসকিন-হাসান মাহমুদরা। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশের জয় ৭ রানে।
এদিন ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকে ১৮ তম ওভারে শেফার্ডকে ফিরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য ম্যাচটা কঠিন করে তুলেন তাসকিন। খরচ করেন মাত্র ২ রান। ১৯ তম ওভারে এসে তানজিম হাসান সাকিব খরচ করেন ৮ রান। শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চায় আরও ১০ রান।
বাংলাদেশকে জেতানোর দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নেন হাসান মাহমুদ। আগ্রাসী রোভম্যান পাওয়েলকে তৃতীয় বলে সাজঘরে ফেরানোর আগে খরচ ১ রান। শেষ ৩ বলে ৯ রান করতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। হাতে উইকেট কেবল মাত্র ১টি। পঞ্চম বলে আলজারি জোসেপের স্টাম্প ভেঙে বাংলাদেশকে জয় এনে দেন হাসান। বাংলাদেশ ম্যাচ জেতে ৭ রানে।
এদিন শুরু থেকেই বল হাতে দাপট ছিল বাংলাদেশের। নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সঙ্গে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে ম্যাচের লাগাম নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল বাংলাদেশি বোলাররা। মাহেদী হাসানের অসাধারণ বোলিংয়ে শুরুতে সুবিধা করতে পারেনি ক্যারিবীয় ব্যাটাররা। ১২ ওভারের আগেই ৬১ রানে হারিয়ে বসে ৭ উইকেট। তবে এরপর ম্যাচে ফেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
মাত্র দুই ওভারের মধ্যেই ম্যাচে ফিরে এল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৩ ওভারে ৭ উইকেটে ৭০ থেকে ১৫ ওভারে ৭ উইকেটে ১০৮ রান হয়ে গেছে দলটির। ১৪তম ওভারে রিশাদ দিয়েছেন তিন চারসহ ১৫ রান, পরের ওভারে তাসকিনকে ৩টি ছয় মেরেছেন রোভম্যান পাওয়েল। মোট এসেছে ২৩ রান। আর হাতেই ম্যাচ হাত ছাড়া হওয়ার উপক্রম। যদিও শেষ হাসিটা হেসেছে বাংলাদেশই। যেখানে ১৩ রান খরচায় ৪ উইকেট তুলে বাংলাদেশের জয়ের নায়ক মাহেদী।
এর আগে কিংসটাউনের ধীর গতির উইকেটে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট খরচায় স্কোরবোর্ডে ১৪৭ রানের চ্যালেঞ্জি পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের শুরুটা ভালো না হলেও দলকে রানে রাখেন সৌম্য সরকার। ৩২ বলে ৪৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। তার আগে তানজিদ ৬ রানে সাজঘরে ফেরেন। আর অধিনায়ক লিটন দাস ব্যর্থতা বজায় রাখেন টি-টোয়েন্টিতেও। ওয়ানডেতে সবশেষ ম্যাচে ডাকের পর এবার টি-টোয়েন্টিতে ডাক লিটন। ১৫ রানে বাংলাদেশের দুই উইকেট নেই। থিতু হতে পারেননি আফিফ হোসেনও। ১১ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার।
সৌম্যকে সঙ্গ দিয়ে বিপর্যয় কাটাল জাকের আলী। ২৭ বলে ২৭ রান আসে তার ব্যাট থেকে। খানিক পর সৌম্য ফিরলে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট পাওয়া নিয়ে দেখা দেয় শঙ্কা। শেষ পর্যন্ত সেই শঙ্কা পর্যন্ত দূর হয় শামিম হোসেনের ঝোড়ো ইনিংসে। ১৩ বলে ৩ ছক্কা ও ১ চারে ২৭ রান আসে এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে। আরেক ব্যাটার মাহেদী হাসান ২৪ বলে ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।