কলেজছাত্রীর অশ্লীল ভিডিও ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বাগমারার এক যুবলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে। তার নাম হিটলার মাহমুদ। আহ বুধবার ধর্ষনের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রাজশাহী নিউ ডিগ্রী কলেজের এক ভুক্তভোগী ছাত্রী। রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের ফিলোসোফি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ২০২০ সালের মে মাসে হিটলারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই ছাত্রী। তখন তিনি বুঝতে পারেননি ছেলেটি একজন প্রতারক ও নারীলোভী। সে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা করতে শুরু করে। তখন কিছু আপত্তিকর ভিডিও করে রাখে এবং এগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে তাকে। এর বিচার চেয়ে মামলাও করেছেন ওই ছাত্রী।
হিটলার মাহামুদ বাগমারা উপজেলার হাসনিপুর গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে। হিটলার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাগমারার ভবানীগঞ্জ তক্তপাড়ায় তার এক বোনের বাসায় নিয়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা করত। কিন্তু বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে নানা তালবাহানা করত। এভাবে সাড়ে ৪ বছর পার হয়ে যায়। কিন্তু বিয়ে আর করেনি। ওই ছাত্রী জানান, প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি হিটলারকে এড়িয়ে যেতে শুরু করেন। তখন হিটলার তাকে গোপনে ধারণ করা কিছু আপত্তিকর ছবি এবং ভিডিও পাঠান। তার কথামত না চললে এগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখান। ফলে তিনি সম্পর্ক চালিয়ে যেতে বাধ্য হন। ওই ভিডিও ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে হিটলার দিনের পর দিন ধর্ষণ করেন বলে তার অভিযোগ।
তিনি জানান, হিটলারের বিরুদ্ধে মামলা করতে তিনি গত ২০ নভেম্বর বাগমারা থানায় যান। সেদিন ওসি তৌহিদুল ইসলাম শুধু একটি অভিযোগ নিয়ে রাখেন। এক লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে তিনি মামলা রেকর্ড করেননি। পরে ২৮ নভেম্বর তিনি আদালতে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলার আবেদন করেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় হুমকি দেওয়ার অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন তিনি।
ওই ছাত্রী বলেন, ‘মামলা করার পর পর আমি জেনেছি হিটলার ইতোমধ্যে তিনটি বিয়ে করেছে। প্রথম স্ত্রীর নাম রিতা। তারপর রাজিয়া সুলতানা ইভা নামের এক মেয়ের সঙ্গে চার বছর প্রেম করে বিয়ে করে। পরে তালাক হয়ে যায়। বর্তমানে মিতু নামের আরেক মেয়ের সঙ্গে হিটলারের প্রেমের সম্পর্ক আছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নারী শিক্ষকের সঙ্গেও তার প্রেমের সম্পর্ক আছে। নারীলোভী হিটলার মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে টাকা-পয়সাও হাতিয়ে নেয়। আমি চাই, আর কেউ যেন হিটলারের ফাঁদে না পড়েন।’