০৫ জানুয়ারী ২০২৫, রবিবার, ০২:১৬:৪১ অপরাহ্ন
ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০১-২০২৫
ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে  ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।


ডাকসু নির্বাচন নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডার  প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এ আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।



এর আগে সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট মিটিংয়ে আওয়ামীপন্থি তিনজন সিন্ডিকেট সদস্যকে আমন্ত্রণ ও সিন্ডিকেটে ডাকসু নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান ও প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমদের সঙ্গে হট্টগোল করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। একদিকে শিক্ষার্থীরা দ্রুত ডাকসু নির্বাচন চেয়ে স্লোগান দেন, অন্যদিকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা এখনই ডাকসুর বিষয়ে আলোচনা না করার দাবি তোলেন।


হট্টগোলের সময় সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক আবিদুর রহমান মিশু উপাচার্যকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্রদল এখনো রাজনীতি শুরুই করতে পারেনি। অস্থিতিশীল এক পরিবেশে বিভিন্ন জন বিভিন্ন ব্যানারে রাজনীতি করছে। এমন পরিস্থিতিতে কোনো পক্ষের চাপের মুখে অনির্বাচিত সিন্ডিকেট সদস্যদের সভায় এখনই ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।’


এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে রাত সাড়ে ১১টার পর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পাড়া থেকে মিছিল বের করে তারা বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে ভিসি চত্বরে জড়ো হয়ে স্লোগান দেন।


এ সময় শিক্ষার্থীরা- ‘ডাকসু আমার অধিকার, বাধা দেয় সাধ্য কার’, ‘মধুর ক্যান্টিন/চাঁদাবাজি/টেম্পু/ গণরুম/গেস্টরুম না ডাকসু, ডাকসু ডাকসু’,  ‘ডাকসু যারা চায় না, শিক্ষার্থীদের শত্রু তারা’,  ‘১,২,৩,৪ ডাকসু আমার অধিকার’,  ‘লেজুড়বৃত্তির ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান  দেন শিক্ষার্থীরা।


বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা বলেন, যারা ডাকসু বন্ধের চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা রাস্তায় আছি। আমরা লীগকে বিতাড়িত করেছি, কোনো ছাত্রসংগঠনের ভয়ে ডাকসু থেকে পিছু হটবো না। যারা ডাকসুর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, কবরস্থান, টেম্পুস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি করে তাদের আমরা ১৭ জুলাই লাল কার্ড দেখিয়েছি। প্রশাসনের কাছে বলবো, আপনারা তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবি জোবায়ের বলেন, ঢাবি শিক্ষার্থীরা হাসিনাকে পালাতে বাধ্য করেছে। সুতরাং নতুন করে যদি দানব তৈরি হয়, শিক্ষার্থীরা তাদের পালাতে বাধ্য করবে। ঢাবি শিক্ষার্থীরা আর কোনো দানবকে দেখতে চায় না। ছাত্রদল যখন দেখেছে তারা ডাকসুতে জিততে পারবে না, তখন তারা ভিসি স্যারের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করার সাহস দেখিয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা এই প্রশাসনের সঙ্গেই আছি। অনতিবিলম্বে ডাকসু নির্বাচন দিয়ে ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

শেয়ার করুন