ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা মণি শঙ্কর আয়ার বলেছেন, বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যতদিন ইচ্ছে, ততদিন ভারতে থাকার অনুমতি দেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দীর্ঘদিন ধরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ছিলেন এবং তার নিরাপত্তার জন্য ভারত সরকারকে সহানুভূতির সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআই।
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি গত মাসে ঢাকা সফর করে সেখানকার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, এটি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মণি শঙ্কর আয়ার।
তিনি পিটিআইকে জানান, এই আলোচনা অব্যাহত থাকা উচিত এবং ভারতকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে মন্ত্রিসভার স্তরে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি নিয়ে আয়ার বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা সবাই একমত হব যে—শেখ হাসিনা আমাদের জন্য অনেক ভালো কাজ করেছেন। আমি খুশি যে তাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। যত দিন তিনি থাকতে চান, এমনকি তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত, আমাদের তাকে অতিথি হিসেবে রাখা উচিত।’
৭৭ বছর বয়সি শেখ হাসিনা গণ আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট ভারত পালিয়ে এলে তার ১৬ বছরের শাসনের পতন ঘটে। তখন থেকেই ভারতে বসবাস করছেন হাসিনা।
আইয়ার মনে করেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা সত্যি, তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা শেখ হাসিনার সমর্থকদের ওপর রাজনৈতিক হামলা।
সাবেক কংগ্রেস নেতার এই বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের দাবি তুলে ভারতের সংবাদমাধ্যমে ভিন্নভাবে প্রচার হচ্ছে।
কংগ্রেসের এই প্রবীণ নেতা বলেন, ‘হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা সত্য হলেও, অনেক ক্ষেত্রে এগুলো রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে সৃষ্ট।’