১৯ জানুয়ারী ২০২৫, রবিবার, ১২:৪১:৪১ পূর্বাহ্ন
আ.লীগ জামায়াতের ১১ জন নেতাকে কেড়ে নিয়েছে : ডা. শফিকুর
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০১-২০২৫
আ.লীগ জামায়াতের ১১ জন নেতাকে কেড়ে নিয়েছে : ডা. শফিকুর

‘চাঁদাবাজ, ঘুষ বাণিজ্যকারী, মামলা বাণিজ্যকারী ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি’ বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।


তিনি বলেন, ‘রাজশাহীতে ৫ আগস্টের পর কোন চাঁদাবাজ আছে? দুর্নীতিবাজ আছেন? ঘুষ বাণিজ্য আছে? যদি থেকে থাকে তবে আপনাদের কাছে অনুরোধ, আল্লাহর ওয়াস্তে এসব ছেড়ে দেন। আর যদি কেউ না মানেন তাহলে বলতে চাই, আমাদের যুদ্ধ শেষ হয়নি। ইনসাফ কায়েম না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। বাচ্চারা এখনও স্লোগান দিচ্ছে, আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ।’


শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা ময়দানে রাজশাহী জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।


‘গত সাড়ে ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকার আলেম ওলামাসহ বিভিন্ন মানুষের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছে’-- অভিযোগ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন,  ‘জামায়াতে ইসলামীর দুইজন আমিরসহ একজন সেক্রেটারি জেনারেল, তিন জন নায়েবে আমির, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও একজন কার্যনির্বাহীর সদস্যসহ মোট ১১ জন দায়িত্বশীল নেতাকে কেড়ে নিয়েছে।’


তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ যারাই করেছে দলের শত শত কর্মীদের তারা হত্যা করেছে। অসংখ্য ভাই-বোনকে গুম করেছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে পঙ্গু করেছে, তাদের চাকরি কেড়ে নিয়েছে। তাদের ভিটামাটি উচ্ছেদসহ ব্যবসা-বাণিজ্য তছনছ করেছে। কাউকে দেশেও থাকতে দেয়নি। হাজার মামলায় দিয়ে হয়রানি করেছে। লাখো সহকর্মীদের জেলে খেটেছে। এতসব মানুষ কী চুরি-রাহাজানি করেছে? নাকি মানুষ হত্যা করেছেন? কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। স্বৈরাশাসকের কথা না মানায় তাদের ওপর এমন নির্যাতন করেছেন।’


জামায়াতের আমির বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করে পশুর মত গুলি করেছিল। অনেক লাশ গুম করা হয়েছিল। লাশ পুড়িয়ে ছাই হয়ে আছে। এখনও বহু জায়গায় গেলে তারা আমাদের কাছে তাদের সন্তানের খবর চায়।’


রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির মাওলানা ড. কেরামত আলীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন  কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, রাজশাহী অঞ্চল পরিচালক অধ্যক্ষ মো. সাহাবুদ্দিন প্রমুখ। 


শেয়ার করুন