২৭ জানুয়ারী ২০২৫, সোমবার, ১০:২৩:০৬ পূর্বাহ্ন
ফেব্রুয়ারি থেকে শহিদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা: তথ্য উপদেষ্টা
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০১-২০২৫
ফেব্রুয়ারি থেকে শহিদ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা: তথ্য উপদেষ্টা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে সাধারণ আলেম সমাজ তাদের লিখিত মতামত দিয়েছে।


এই মতামতে জুলাই ঘোষণাপত্রের গুরুত্ব এবং এর মাধ্যমে একটি সাম্য, মানবিক মর্যদা, ন্যায়ভিত্তিক ও ইসলামি মূল্যবোধসম্পন্ন রাষ্ট্র গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার দিকগুলো তুলে ধরা হয়।


শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য মুহাম্মদ ইউসুফ আহমাদের পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। 


বিবৃতিতে সাধারণ আলেম সমাজ জানায়, এই গণঅভ্যুত্থান শুধু গণআন্দোলন নয়; বরং এটি বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘ শোষণ-বৈষম্যের বিরুদ্ধে একটি ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক পুনর্জাগরণ। জুলাই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে এই বিপ্লবকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং সাংবিধানিক কাঠামোতে এর প্রতিফলন ঘটানো এখন সবচেয়ে বেশি জরুরি।


আলেম সমাজ জুলাই ঘোষণাপত্রে শহিদ ও আহতদের স্বীকৃতি এবং পুনর্বাসন, নেতৃত্বের স্বীকৃতি, দৃশ্যমান বিচার প্রক্রিয়া, সংবিধান পুনর্লিখনের জন্য গণপরিষদ এবং সর্বস্তরের ফ্যাসিবাদী কাঠামো বিলোপের অঙ্গীকার যুক্ত করার মতামত দিয়েছে।


সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, সাধারণ আলেম সমাজ বাংলাদেশের ইসলামি মূল্যবোধ ও ধর্মীয় এবং জাতীয় ঐতিহ্যের ভিত্তিতে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে আসছে। চব্বিশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে এই সংগঠনের ভূমিকা অসামান্য, বিশেষত ইসলামি চেতনা ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে জনগণের সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসতে গাশত কর্মসূচির মতো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সাধারণ আলেম সমাজ। আলেমদের নেতৃত্বে মাদরাসা শিক্ষার্থী এবং ধর্মপ্রাণ সাধারণ জনগণ ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছে।


সাধারণ আলেম সমাজ মনে করে, এই বিপ্লবের সাফল্য নির্ভর করছে জনগণের ইচ্ছার প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতার ওপর।


জুলাই ঘোষণাপত্রের লক্ষ্যগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও সার্বিক রাষ্ট্র গঠনের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান আলেমরা।


শেয়ার করুন