নিষেধাজ্ঞার কারণে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ছিলেন না ম্যাচটাতে। তবে কিলিয়ান এমবাপ্পে তার অভাবটা বুঝতেই দিলেন না। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিকটা করলেন। তাতে ভর করে শনিবার রাতে হোসে জোরিয়া স্টেডিয়ামে রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছে দলটা।
লাস পালমাসের বিপক্ষে আগের লিগ ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন এমবাপ্পে। এর আগেও কোপা দেল রেতে সেলতা ভিগোর বিপক্ষে এবং চ্যাম্পিয়নস লিগে সালজবুর্গের বিপক্ষে গোল করে নিজের ফর্মের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিলেন। কিন্তু এক বা দুই গোল যেন এমবাপ্পের জন্য যথেষ্ট ছিল না। এবার তিনি হ্যাটট্রিকই করে বসলেন।
ম্যাচের শুরুতে অবশ্য রিয়াল ভায়াদোলিদের আক্রমণ প্রতিহত করতে বেশ ব্যস্ত ছিলেন রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। প্রথম আধ ঘণ্টায় দুটি বড় সুযোগ সৃষ্টি করেছিল ভায়াদোলিদ, কিন্তু কোর্তোয়ার দক্ষতায় সেগুলো ঠেকায় রিয়াল। এরপর ম্যাচের ৩০ মিনিটে জুড বেলিংহামের পাস থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন এমবাপ্পে। রিয়াল তখন ১-০ গোলে এগিয়ে যায়।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে রিয়ালের আক্রমণের তীব্রতা আরও বাড়ে। ৫৭ মিনিটে প্রতি আক্রমণে রদ্রিগোর পাস থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন এমবাপ্পে। যদিও ৬৭ মিনিটে বেলিংহামের পাস থেকে আরেকটি সুযোগ পেলেও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি।
হ্যাটট্রিকটি সম্পূর্ণ হয় ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে। বেলিংহামকে ফাউল করায় ভায়াদোলিদের মারিও মার্তিন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন, এবং ভিএআরের সাহায্যে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। সেখান থেকে নিজের ১৫তম লিগ গোলটি করেন এমবাপ্পে, যা রিয়ালের হয়ে লা লিগায় তাঁর প্রথম হ্যাটট্রিক।
এই জয়ে রিয়াল মাদ্রিদ লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করেছে। ২১ ম্যাচ শেষে কার্লো আনচেলত্তির দলের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৪৯, যা দ্বিতীয় স্থানে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদের চেয়ে চার পয়েন্ট বেশি।