২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:৪৪:০১ অপরাহ্ন
রাজশাহীতে কর্নেল আবু তাহেরের ৪৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৭-২০২২
রাজশাহীতে কর্নেল আবু তাহেরের ৪৬ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে মৃত্যুঞ্জয়ী সেক্টর কমান্ডার, সিপাহী-জনতার অভ্যূত্থানের মহানায়ক, জাসদের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা, মহান বিপ্লবী শহীদ আবু তাহের বীরউত্তমকে জিয়ার সামরিক আদালতে সাজানো মিথ্যা মামলায় প্রহসণমূলক বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের ৪৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) মহানগরীর রানীবাজারে বিকাল ৪.৩০ টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্বে করেন মহানগর জাসদের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী। সভায় সঞ্চালনায় করেন মহানগর জাসদের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল কবির বাবু। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জুলফিকার মান্নান জামি।

আলোচনা সভায় উপস্থিত থেকে আরও বক্তব্য রাখেন রাজশাহী মহানগর জাসদের সহ সভাপতি,শাহরিয়ার রহমান সন্দেশ,জেলা জাসদের সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বাবু,সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন বাহার,কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল আলম সিদ্দিক,দপ্তর সম্পাদক গাজী আলমগীর কবির,সংখ্যালঘু ও আদিবাসী বিষয়ক সম্পাদক মানিক কুমার সরকার,যুবজোট রাজশাহী মহানগর সভাপতি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সুজন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মহানগর সাধারণ সম্পাদক সুমন চৌধুরী, সহ সম্পাদক পাভেল ইসলাম মিমুল,সহ সম্পাদক তানভীর হোসেন রুবেল, সদস্য ফয়সাল রহমান রানা,বাংলাদেশ ছাএলীগ মহানগরের সাধারণ সম্পাদক সিহাব উদ্দিন সোহাগ প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বক্তব্য জুলফিকার মান্নান জামি বলেন,শহীদ কর্নেল তাহের বীরউত্তমের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানায়, তিনি ছিলেন একজন মহান দেশপ্রেমিক ও বিপ্লবী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যে পাকিস্তানযাত্রা শুরু হয়েছিল সেই পাকিস্তানযাত্রা থেকে বাংলাদেশকে বাংলাদেশের পথে রাখার জন্যই ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর শহীদ কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে ঐতিহাসিক সিপাহী-জনতার অভ্যূত্থান সংঘঠিত হয়েছিল।কর্নেল তাহেরকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু বিপ্লবী চেতনাকে হত্যা করা যায় না। এ বাংলাদেশেই অসংখ্য কর্নেল তাহেরের জন্ম হবে। তিনি বলেন, নানা বর্ণের লুটেরারা বাংলাদেশকে খুবলে খাচ্ছে। এদের প্রতিহত করে বাংলাদেশকে সঠিক পথে রাখতে হবে। তিনি বিএনপি-জামাতের উদ্দেশ্যে বলেন, তাদের ক্ষমতায় গিয়ে হাওয়া ভবন তৈরি করা ছাড়া আর কোনো রাজনীতি নাই।

সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল্লাহ আল মাসুদ শিবলী জেনারেল জিয়া সিপাহী-জনতার অভ্যূত্থানের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে পাকিস্তানযাত্রা অব্যাহত রাখে এবং জিয়া পাকিস্তানের প্রক্সি যোদ্ধা হিসাবে কাজ শুরু করে। দুর্ভাগ্যক্রমে এখনো বিএনপি-জামাত-রাজনৈতিক মোল্লারা পাকিস্তানের পক্ষে প্রক্সি যোদ্ধা হিসাবে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশের চিরশত্রু পাকিস্তানের এই প্রক্সি যোদ্ধারা নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে যতই নাকিকান্না কাদুকনা কেন তাদের আসল এজেন্ডা দেশকে সংবিধানের বাইরে ঠেলে দিয়ে অসাংবিধানিক সরকার আনা ও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা রুদ্ধ করা।শহীদ কর্নেল তাহেরের চেতনাকে ধারন করে বাংলাদেশের চির শত্রু পাকিস্তানের পক্ষে প্রক্সি যোদ্ধাদের পরাজিত কর শোষণ-বৈষম্য-দুর্নীতির অবসান করে বাংলাদেশকে সমাজতন্ত্রের পথে এগিয়ে নেয়ার সংগ্রাম অব্যাহত রাখার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

আমিরুল কবির বাবু বক্তব্যে বলেন,জিয়ার সামরিক শাসন আমলে কর্নেল তাহের সহ প্রহসণমূলক বিচারে শতশত সিপাহী এবং অফিসারদের হত্যা করা হয়েছে। তিনি জিয়ার আমলে সেনা অভ্যন্তরে সংঘঠিত সকল হত্যা এবং গুমের ঘটনার স্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানান।সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক ৫ম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশের সংবিধান সামরিক শাসনের পাপ থেকে মুক্ত হয়েছে। ৫ম সংশোধনী বাতিলের ফলেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, কর্নেল তাহের হত্যার বিচারের পথে বাঁধা সমূহ অপসারিত হয়।

শেয়ার করুন