ফুলকপি একটি শীতকালীন সবজি। এ সময় প্রায় সবার ঘরেই প্রতিদিন ফুলকপির কোনো না কোনো পদ খাওয়া হয়। স্বাস্থ্যকর এই সবজি বিভিন্ন রোগের দাওয়াই হিসেবে কাজ করে। ওজন কমানো থেকে শুরু করে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ক্যানসারসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। তবে এর প্রতিক্রিয়াও আছে বেশ।
ফুলকপিতে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি ৬, পটাসিয়াম, কোলিন ও ফোলেট সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনও খনিজ আছে। তবে ফুলকপি ডেকে আনতে পারে শারীরিক নানা সমস্যা। এর ফলে হজমের সমস্যা হতে পারে।
থাইরয়েডের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। যাদের থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে তাদেরকে ফুলকপি খেতে নিষেধ করেছেন চিকিৎসকরা। কারণ ফুলকপি শরীরে টি-৩ এবং টি-৪ হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এই দুটি হরমোনের পরিমাণ বেড়ে গেলে থাইরয়েডের রোগীদের সমস্যা হতে পারে।
যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, তারা ফুলকপি এড়িয়ে চলবেন। ফুলকপিতে পটাশিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এই পটাশিয়াম রক্ত অনেক বেশি ঘন করে তোলে। অনেক সময় রক্ত জমাটও বেঁধে যেতে পারে। তাই তারা এই সবজি থেকে বিরত থাকবেন।
যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তারা এই সবজি এড়িয়ে চলবেন। ফুলকপিতে পেট ফাঁপতেও পারে। যাদের কিছু খেলেই পেট ফাঁপার সমস্যা হয় তারা এটি এড়িয়ে চলবেন।
দুগ্ধদানকারী মায়েদের জন্যও সতর্ক করা হয়েছে এই সবজি। এই সবজি প্রসুতি মায়ের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
নিয়ম অনুযায়ী ও নির্দিষ্ট পরিমাণে খাওয়া হলে ফুলকপি স্বাস্থ্যের জন্য হতে পারে অনেক উপকারী। সপ্তাহে একদিন বা দুদিন অল্প পরিমাণে এটি খেতে পারেন। ফুলকপি বিভিন্ন উপায়ে খেতে পারেন। তবে আপনার যদি হজমের সমস্যা থাকে তাহলে রান্না করে তবেই ফুলকপি খাবেন। তবে পানি সেদ্ধ করবেন না, এতে ফুলকপিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নষ্ট হয়ে যায়।