কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে তাকে অপসারণের দাবিতে অনুশীলন বয়কট করেছে জাতীয় দলের ১৭ নারী ফুটবলার। কোচকে অপসারণ না করলে অবসরের হুমকিও দিয়েছে তারা। এই অবস্থায় জাতীয় দলে থাকা বিকেএসপির বর্তমান ও সাবেক ফুটবলারদের সঙ্গে দেখা করতে বাফুফে ভবনে যান প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মুনীরুল ইসলাম।
সোমবার দুপুরে বাফুফে ভবনে গিয়ে ফুটবলারদের ডিসিপ্লিন ইস্যুতে বার্তা দিয়ে এসেছেন বিকেএসপির মহাপরিচালক। ফুটবলারদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, যে কোনো খেলাতেই ডিসিপ্লিন সবার আগে।
নারী ফুটবলারদের বিদ্রোহ ও বাফুফেতে আসার কারণ হিসেবে বিকেএসপির মহাপরিচালক বলেন, ‘বেশ কিছুদিন থেকেই গণমাধ্যমে দেখছিলাম নারী ফুটবল দলে একটি বিষয় নিয়ে সমস্যা চলছে। যেহেতু এখানে আমার বিকেএসপির কিছু রানিং ফুটবলার রয়েছে। এছাড়া ঋতুপর্ণাসহ কিছু এক্স বিকেএসপির খেলোয়াড়ও আছে। সম্প্রতিই তারা বিকেএসপি থেকে বের হয়ে এসেছে। সেখান থেকেই আমার মনে হলো বিকেএসপির মহাপরিচালক হিসেবে বিকেএসপির বর্তমান খেলোয়াড় হোক কিংবা সাবেক সবারই অভিভাবক আমি।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমার মনে হলো তাদের কি অবস্থা তাদের সঙ্গে আমার কথা বলা প্রয়োজন। তখন আমি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি, বলি আমি আমার খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টা জানতে চাই। সেখানে থেকেই আমার এখানে আসা।’
ফুটবলারদের প্রতি কি বার্তা দিয়েছেন; জানতে চাইলে মুনীরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি শুধু ওদের ফিলিংসটা জেনে যাচ্ছি। এখানে তো আমার পরামর্শ দেওয়ার কিছু নেই। পরামর্শ সিদ্ধান্ত এসবই দেবে ফুটবল ফেডারেশন। সভাপতিও মনে হয় কালকেই চলে আসবেন।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘কোনটা যৌক্তিক অযৌক্তিক এটা আমি যাচাই করতে আসিনি। আমি শুধু তাদের অবস্থাটা জানতে এসেছি। আমি ওদের বিষয়গুলো জানলাম। ওদের যেভাবে গাইড করা প্রয়োজন আমি করে দিয়েছি। যে কোনও খেলার ক্ষেত্রেই ডিসিপ্লিন সবার আগে। শুধু ফুটবল ফেডারেশন নয় যে কোনও ফেডারেশনেই খেলতে যাওয়া আগে খেলোয়াড়দের সঙ্গে ডিসিপ্লিন নিয়ে আমার সঙ্গে তাদের একটা সেশন থাকে। কারণ তারা একটা ইউনিফর্ম পরবে, কেউ যেন আঙ্গুল তুলতে না পারে বিকেএসপির খেলোয়াড়দের দিকে।’
নারী ফুটবলারদের ফুটবল নিয়ে ভাবনাকে ইতিবাচক হিসেবেই মনে করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক, ‘খেলোয়াড়দেরও নিজস্ব কিছু চিন্তা ভাবনা আছেন। তবে একটা জিনিস খেয়াল করলাম ওদের চিন্তা ভাবনায় খেলাই রয়েছে। সামনে যে খেলা হয়েছে বাংলাদেশ দল আরব আমিরাতে যাবে সেখানে ভালো করতে হবে। এটা একটা পজেটিভ দিক বলে মনে হয়েছে। প্রত্যেকটা খেলোয়াড় ভালো রেজাল্টের বিষয়ে ভাবছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার যা বলার আমি তাদের বলেছি। আমি আমার মত করে তাদের গাইড করেছি। ডিসিপ্লিনের বিষয়ে তারা যেন শক্ত হয়।’