০৭ জুলাই ২০২৪, রবিবার, ০৬:২৪:৪৩ অপরাহ্ন
পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৭-২০২৪
পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী

পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষের সমাপনী শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। সেতুর মাওয়াপ্রান্তে অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


বুধবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান এ বিষয়ে জানিয়েছেন।


তিনি বলেন, গত ৩০ জুন পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে। শুক্রবার আয়োজিত সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন বলে সম্মতি দিয়েছেন।


তিনি বলেন, যেহেতু হাতে সময় কম, তাই এ অনুষ্ঠান উপলক্ষে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টসহ অন্য কাজগুলো সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে কেনার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।


নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত দেশের দীর্ঘতম সেতুটি ২০২২ সালের ২৫ জুন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর দুদিন পর সেতুটি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।


এরপর থেকে গত দুই বছর সেতুর উপর দিয়ে ১ কোটি ২৭ লাখ যানবাহন পারাপার হয়েছে। গত ২৯ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে এক হাজার ৬৬১ কোটি টাকা।


প্রতিদিন গড়ে ১৯ হাজার যান চলাচল করেছে এই সেতুতে। দৈনিক গড়ে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকার টোল আদায় হয়েছে বলেও মন্ত্রিপরিষদের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান জানান।


২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সেতু নির্মিত হয়েছে। ২০০১ সালের ৪ জুলাই মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন শেখ হাসিনা। এরপর ২০০৭ সালের ২৮ আগস্ট পদ্মা সেতু প্রকল্পের অনুমোদন দেয় সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একনেক। তখন প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা।


২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর সেতুর কাজ পুরোদমে শুরু করে আওয়ামী লীগ সরকার। এ সময়ে বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন করা হয়। দায়িত্ব পায় নিউজিল্যান্ডভিত্তিক মাউনসেল লিমিটেড।


২০১০ সালের ১১ এপ্রিল মূল সেতুর দরপত্র আহ্বান করে সরকার। পরের বছর ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি রেলপথ যুক্ত করে ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকায় পদ্মা বহুমুখী সেতু সংশোধিত নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করে একনেক।


এরপর ২০১১ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজের শুরুতে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরে যায়।


সেই অভিযোগকে ভিত্তি ধরে সমালোচনা হয় সরকারের। যদিও পরে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়নি। কানাডার আদালতেও এ সংক্রান্ত মামলাটি প্রমাণ করা যায়নি।


২০১২ সালে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা। ২০১৫ সালে পদ্মার মূল সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


শেয়ার করুন