১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, মঙ্গলবার, ০৬:৪৭:২৮ পূর্বাহ্ন
শাহবাগ মোড় থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ, যান চলাচল শুরু
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০২-২০২৫
শাহবাগ মোড় থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ, যান চলাচল শুরু

রাজধানীর শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনরত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগপ্রত্যাশীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। লাঠিপেটা ও জলকামান থেকে পানি ছিটানোসহ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে সড়ক থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় পর শুরু হয়েছে শাহবাগের মোড়ের চারপাশের রাস্তায় যান চলাচল। তবে সবগুলো সড়কেই গাড়ির দীর্ঘ সাড়ি ও তীব্র যানজট দেখা গেছে।



সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সড়ক থেকে সরে যান আন্দোলনকারীরা।



এর আগে, দুপুর সোয়া ১টার দিকে শাহবাগ মোড়ে এনটিআরসির নিবন্ধিত নিয়োগপ্রত্যাশী এবং হাইকোর্টের রায় বাতিল করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলে উত্তীর্ণদের নিয়োগ দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ৪ শতাধিক আন্দোলনকারী। এতে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে রাখা জলকামান থেকে পানি ছিটিয়ে ও লাঠিপেটা করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। দুপুর পৌনে ৩টার দিকে সেখানে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় ছত্রভঙ্গ হয়ে আন্দোলনকারীরা আবারও সড়কে অবস্থান নেন। পুলিশের বল প্রয়োগের মুখে অবশেষে বিকেল পৌনে ৫ টার দিকে সড়ক থেকে সরে যান তারা।


তৃতীয় ধাপে মনোনীত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগপ্রত্যাশীরা বলছেন, তাদের নিয়োগ বাতিল করে যে রায় দেয়া হয়েছে, সেটি বৈষম্যমূলক। এই সরকারই তাদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে আবার সেটা বাতিল করেছে। এটি শিক্ষকদের সঙ্গে প্রতারণা। তাই রায় বাতিল করে নিয়োগ চূড়ান্ত করার দাবি জানান তারা।


অন্যদিকে এনটিআরসিএর নিবন্ধিত নিয়োগ প্রত্যাশীরা বলছেন, এনটিআরসিএ এখন পর্যন্ত ১৭টি নিয়োগ পরীক্ষার সুপারিশ করলেও মাত্র ৫টি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ দিয়েছে। এতে প্রায় ১২-১৩ হাজার যোগ্য শিক্ষক বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। বহু নিবন্ধিত শিক্ষক একাধিকবার পরীক্ষায় পাস করেও চাকরির সুপারিশ পাননি। অথচ কিছু লোক আবেদন ছাড়াই নিয়োগ পেয়েছেন।


শেয়ার করুন