২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১১:৫৪:৫৩ পূর্বাহ্ন
১০ বছর পর ছাত্রত্ব ফিরে পেলো রাবি শিক্ষার্থী
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০২-২০২৫
১০ বছর পর ছাত্রত্ব ফিরে পেলো রাবি শিক্ষার্থী

১০ বছর ৬ মাস পরে ছাত্রত্ব ফিরে পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম। তিনি ফলিত গণিত বিভাগের ২০০৭-২০০৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।


শিবির সন্দেহ ও বিভাগের শিক্ষকদের আন্ত-কোন্দলের কারণে থিসিস জালিয়াতির অভিযোগে তার ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে বর্তমান প্রশাসন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৫৩৬তম সভায় তার ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক ।


ছাত্রত্ব বাতিল বিষয়ে গঠিত রিভিউ কমিটির সদস্যদের প্রতিবেদনের আলোকে রফিকুল ইসলামের ছাত্রত্ব পুনর্বহাল ও তার পরীক্ষার অপ্রকাশিত ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৬তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 


অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন মজুমদার জানান, মাস্টার্সের থিসিস জালিয়াতির অভিযোগে এনে ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬১তম সিন্ডিকেটে ১৩৭ নং সিদ্ধান্তে মাস্টার্সের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের মাধ্যমে রফিকুলের ছাত্রত্ব বাতিল করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রশাসন।


এদিকে, এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় বিভাগের তিন শিক্ষক ড. আব্দুল হক, ড. আলী আকবর ও ড. আশরাফুজ্জামান খানকে আগামী ৫ বছর পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।


ছাত্রত্ব ফিরে পেয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর ৬ মাস ধরে জুলুমের পাহাড় আজ বুক থেকে নেমে গেল। এত দীর্ঘ সময় পর আমার ছাত্রত্ব ফিরে পাওয়ায় রাবি প্রশাসনের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। যদিও আমার জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো কখনোই ফিরে আসবে না, তবুও প্রিয় ক্যাম্পাস থেকে মাস্টার্সের ফলাফল ফিরে পাওয়াটা আমার জন্য পরম আনন্দের।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল হক বলেন, সংশ্লিষ্ট সকলের মৌখিক ও লিখিত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এবং সকল তথ্য উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে রিভিউ তদন্তের কাজ শেষ করা হয়। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।


এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দিন খান বলেন, রফিকুল বিভাগের ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট ছিলেন। শিক্ষক নিয়োগে যেন আবেদন করতে না পারে সেই জন্য থিসিস জালিয়াতির অভিযোগ এনে তার ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়। যার কোনো সত্যতাই ছিলো না। এ নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট এক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে তার মাস্টার্সের ফলাফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।


শেয়ার করুন